খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।

খালেদা জিয়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সবাইকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে সত্যিকারে যারা সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছিল, বিএনপি তাদের বিচার চায়। কিন্তু সেটি হতে হবে আন্তর্জাতিক মানসম্মত, স্বচ্ছ উপায়ে।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মান দেয়নি এমন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ নিজের ঘরে যুদ্ধাপরাধী পালছে, মন্ত্রী বানাচ্ছে।

খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এসব বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা দ-বিধির ১২৩(ক) ধারায় অপরাধ।

উল্লেখ্য, একই বক্তব্যে গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক খালেদার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই দিন আদালত সরকারের অনুমোদন নিয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। একই অভিযোগে নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম মানহানির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই