ইসলামে মানবাধিকারের গুরুত্ব
সম্প্রতি দেশে-বিদেশে কিছু দুষ্কৃতিকারী সংঘাত, সংঘর্ষ ও ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে কিন্তু ইসলাম মানুষের জন্য একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা এখানে মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা মানুষের প্রয়োজনেই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এই জন্য তিনি পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমরা আল্লাহ রশিকে দৃঢ়ভাবে আকড়িয়ে ধর আর তোমরা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইওনা।”এছাড়া পবিত্র হাদিস শরীফেও অসংখ্য বার ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের কথা বলা হয়েছে।হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে নাফরমানিকে তিনি ক্ষমা করে দেবেন কিন্তু অন্যের হক নষ্ট করলে সে ক্ষমা না করা পর্যন্ত আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না।
এতে বুঝা যায় মুসলিমদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সাওয়াবের কাজে। এই সাওয়াব অর্জর করতে গেলে একজন মুসলিমকে অন্য মুসলিমের প্রতি ৬টি হক আদায় করতে হবে।
মানবাধিকারের গুরুত্ব ইসলামে এত বেশি যে হাদিসে বলা হয়েছে, মানুষ যখন আল্লাহর দরবারে তওবা করে যদি কারও অধিকার তার ওপর থাকে যতক্ষণ সে তাকে রাজি না করবে ততক্ষণ তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. বলেছেন, প্রতিটি মুসলমানের ওপর তার মু’মিন মুসলমান ভাইয়ের প্রতি ৬টি অধিকার রয়েছে।
১) যখন সে সালাম দেয় তার উত্তর দিবে।
২) যখন সে অসুস্থ থাকে তাকে দেখতে যাবে।
৩) যখন সে হাঁচি দেয় তখন ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে।
৪) যখন সে দাওয়াত করে তা গ্রহণ করবে।
৫) যা নিজের জন্য পছন্দ করে তা তার দ্বীনি ভাইয়ের জন্য পছন্দ করবে, আর যা সে নিজে অপছন্দ করে তা তার দ্বীনি ভাইয়ের জন্যও অপছন্দ করবে।
৬) সে মারা গেলে জানাজায় অংশগ্রহণ করবে।
(মুসলিম শরীফ : ২১৬২)
সুতরাং প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিকে বিষয়গুলো লক্ষ রাখা উচিত। গভীরভাবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, এই ৬টি বিষয় প্রায় অধিকাংশের ভেতর গরমিল থাকে। অনেক বড় ইবাদত করলেও অন্যের অধিকার বিষয়ে অনেকে অচেতন। যা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুতর অন্যায়। কারণ এই অধিকার লঙ্ঘন করলে ব্যক্তি নিজে মাফ না করলে আল্লাহও মাফ করবেন না।
মন্তব্য চালু নেই