শয্যাশায়ী স্ত্রীর পাশে ৫৬ বছর!
অনেকে বলে পৃথিবীতে এখন আর সত্যিকারের ভালবাসা নেই। তাদেরকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে এই স্বামী-স্ত্রীর ভালবাসা। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একজন স্বামীর সৌভাগ্যবান স্ত্রীকে নিয়ে বাস্তব এক গল্প জেনে নিন আজ। যা হয়ত রুপকথা কেউ হার মানায়।
৮৪ বছর বয়সী একজন চায়নার নাগরিক তার অসুস্থ স্ত্রীকে গত ৫৬ বছর ধরে দেখাশোনা করছেন। যতদিন তিনি বেঁচে আছেন এভাবেই তিনি তার স্ত্রীর দেখাশোনা করতে চান।
চায়নার শানডং প্রদেশের সুনজিয়ায়ো প্রদেশে ডু ইউয়ানফা তার স্ত্রীর সাথে বসবাস করেন। একসময় তার স্ত্রী বিছানায় পড়ে গেলে তিনি তার চাকরী ছেড়ে দিয়ে তার স্ত্রী জু এর সেবায় নিয়োজিত হন। ১৯৫৯ সালে তিনি হঠাৎ একটি অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে যান। এরপর থেকে তার শরীর অচল হয়ে যায়। জু এর বয়স তখন মাত্র ২০ বছর ছিল।
ইউয়ানফা এবং জুয়ের বিয়ের মাত্র ৫ মাসের সময় জু এই রোগে আক্রান্ত হন। তারপর তার সম্পূর্ণ শরীর অকেজো হয়ে যায়। কিন্তু ইউয়ানফা তাকে ত্যাগ করেন নি। তখন থেকে আজ পর্যন্ত তিনি তার স্ত্রীর দেখাশোনা করছেন।
ইউয়ানফা তার স্ত্রীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। তবে সকল স্থান থেকে একই উত্তর এসেছে যে, জু কখনও হাঁটতে পারবে না। তাদের পরিবার তাদের টাকা দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইউয়ানফা নিজেই তার দেখভাল করেন।
সে তার স্ত্রীকে সারাজীবন দেখার ওয়াদা করেছেন। দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে তিনি তার দেখাশোনা করছেন। ঘরের সকল কাজ রান্না করা, ঘর গুছানো এবং সকল কাজ তিনি নিজেই করেন। জুয়ের খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে সকল কাজ করেন তিনি।
তাদের ভালবাসার গভীরতা সম্পর্কে এলাকার সকলে জানান। তাদের প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সময় তাদের জন্য বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে যান। সকলে তাদের অনেক সাহায্য করেন। জু নিজের শরীর একটুও নাড়াচাড়া না করতে পারলেও তিনি নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি।–সূত্র: ইন্ডিয়া টাইম্স।
মন্তব্য চালু নেই