হৃদয়ের ইতিহাস

বুকের রক্ত দিয়ে লেখা প্রবাসী জীবনের হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণের জাগ্রত ইতিহাস গুলো আজ প্রেমভাবাপন্ন শক্তিশালী উন্নত হৃদয় দিয়ে বাহির হয়ে আসতে চায়। ঐ সন্ধার উষালগ্নের মৃদু অস্পষ্ট আলো হৃদয় দেহে মিটমিট করে কেন যেন জ্বলতে ছিল।

আমার এই মহাধ্বনি স্তব্ধ করিয়া প্রাণের মধ্যে বাজিয়া উঠে। যদি এই পৃথিবীকে মনের মাধুরী দিয়ে একটু সাজাতে পারতাম। তাহলে আমার এই উদাস চঞ্চল মন প্রাণ আকুল হইয়া প্রভাতের মৃদু মলয়কে আমার স্নেহের মর্মতলে স্পর্শ দিতে পারতাম।

আমার হৃদয়ে প্রবাসী জীবনের রক্তক্ষয়ী ব্যথার ইতিহাস আজ ঊষার সুরভী শ্বাসে জীবনের আহবানে আকাশে বাতাসে নিত্য নবীনের জ্বয় গানে উদ্ভাসিত হয়ে যাচ্ছে। সংশয় ও বিশ্বাস সন্ধানের আবিষ্কার করতে চেয়ে ছিল এই দেহ লগ্ন। পরম ধৈর্য্য ও শান্তির সহিত জীভন যাত্রা নির্বাহকে উপেক্ষা করে ইতিহাস গুলো আজ দেশের মাটিতে রয়ে গেল।

আজকে বিশাদশান্ত দৃষ্টিপাত এবং অন্ধ অনুমান শক্তি দ্বারা হৃদয়ের মর্মবেদনা বুঝিতে পারছি ঐ প্রবাসী জীবনে কত সংগ্রাম। আমার বাণীকণ্ঠের ঘর থেকে আমি বলব সেই মনিদীপ্ত গভীর নিস্তব্ধ পাতাল পুরীর রাজ কন্যার মত সেই মানব সমাজের প্রবাসীর ইতিহাস সেজে গুজে বসে আছে।

এ যেন নিরীহ কোমল ভাব প্রকাশ করে অমিয়াসিক্ত, কুসুমের সৌকুমার্য চন্দ্রের চন্দ্রিকার মত, মধুর মাধুরী এবং যুথিকার সৌরভ, সুপ্তির নীরবতা নিয়ে বিশ্বজগতের প্রাণে চেয়ে আছে। আর এই মন বলে উঠে দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না, রইল না সে যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। আজ শুধু দৃষ্টি শক্তি তীক্ষè শ্রবণ শক্তি প্রখর এবং ঘ্রাণশক্তি সজিব করে সেই মনের ইতিহাস দেখিতেছি শুনিতেছি বুঝিতেছি।

বসন্তের আগমনে প্রকৃতির শিহরণে এই মনে দোলা দিয়ে যায় তবু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে প্রকৃতির ফুলে ফলে নববধূর রূপ ধারণ করে আসা দক্ষিণা মৃদুমন্দ প্রবাহিত বাতাসের প্রাণে চেয়ে থাকি। আমার সেই বসন্তের বিশাল আকাশে সৌন্দর্য পুরী নির্মল দিবসের নীলাকাশ রজনীতে কালো হয়ে দেখা আকাশের গায়ে লক্ষ কোটি তারাল মেলা আজ কোথায় গেলা?

“গগণে গরজে মেঘ ঘন বর্ষা কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা”। জীবনের শেষ নীলাকাশে খুজে পেলাম ঐ প্রবাসীর মনের জাগ্রত খুরাক। হৃদয়ের সেই জাগ্রত ইতিহাস তাই পিছনে রয়ে গেল। তাই আজ এই মন জীবনের শেষ ঠিকানা পরপারের দিকে চেয়ে আছে।

লেখক : মোঃ সেলিম মিয়া, গাজীপুর। মোবাইল : ০১৯৩০০-৪৯৮৪৫, ০১৭৬৬৬-৩২৮১৫



মন্তব্য চালু নেই