টেকনাফের শিক্ষা প্রতিষ্টানে লেখাপড়া করেছে রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েরা

বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক স্তর থেকে আরম্ব করে উচ্চস্তর পর্যন্ত শিক্ষাকে যুগ উপযোগী করার জন্য আপপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর বাজেটের সময় শিক্ষা খাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ খাতে বরাদ্দ রাখছে অন্যান্য খাতের চেয়ে বেশী। সরকার মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে উপবৃত্তির বিভিন্ন স্তরে ভাগ করেছে। সে অনুপাতে দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তির পাশাপাশি বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ পাচ্ছে। প্রতি বছর বাড়ানো হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্টান, নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরকে।

এর পরও জনসংখ্যার চাপে শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে আবাসন সংকট, শিক্ষক সংকট সহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিকদের ছেলে মেয়েরা বিনা বাধায় বিনা অনুমতিতে টেকনাফসহ বাংলাদেশের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ভর্তি হচ্ছে এবং লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছে।

ফলে দিন দিন শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত ছাত্র-ছাত্রীর কারনে সীমিত শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাঠদান করতে গিয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে এলাকার লোকজন জানায়। বাংলাদেশের সর্বস্তরের গুরুত্বর্পূণ প্রতিষ্টান সমূহে যে কোন বিষয়ে কাজ করতে গেলে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফলে রোহিঙ্গা নাগরিকেরা এখানে সুযোগ পায়না।

কিন্তু টেকনাফ সহ বাংলাদেশের যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে কোন নিয়ম নীতি না থাকায় অহরহ ভর্তি হচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের সন্তানেরা। স্থানীয় শিক্ষার্থীর চেয়ে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীরা সরকারী সুযোগ সুবিধা সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।

তাই এলাকার সচেতন মহল বলেছে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহের শিক্ষকেরা কোকিলের বাচ্চাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে। টেকনাফে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহ পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায় থেকে আরম্ব করে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে অবৈধ মিয়ানমার নাগরিকদের সন্তানাদিরা লেখা পড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। যা তদন্ত করলে অনায়সে ধরা পড়বে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত ধরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোন শিক্ষাপ্রতিষ্টানে রোহিঙ্গা ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নের প্রমাণ পাওয়া গেলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধানের বিরুদ্ধে যথযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যেহেতু ছাত্র ছাত্র ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের সনদের ফটোকপি বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে। এদিকে এলাকার লোকজন জানায়, সরকার যতই ঢাকঢোল পেটাক না কেন চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী। এ বিষয়ে তদারকি করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসির অভিমত।



মন্তব্য চালু নেই