ভূঞাপুরে বালু ঘাটের চাঁদাবাজির নাম ‘কনসোডিয়াম’
দেশের বিভিন্ন এলাকার বালুর চাহিদা মেটানো লক্ষ্যে যমুনা নদীর তীরে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী থেকে পাথাইলকান্দি পর্যন্ত স্থাপন করা করা হয়েছে ২৪ টি বালু ঘাট। এসব বালু ঘাট থেকে প্রতিদিন দুই থেকে ৩০০ ট্রাক বালু সরবরাহ করা হয়। আর এ বালু ঘাটকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা গড়ে তুলেছে কনসোডিয়াম। কনসোডিয়ামের নামে প্রতি ট্রাক বালু থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা। স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে এ টাকা চলে যাচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরে। বর্তমানে কনসোডিয়ামের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বালু ঘাটগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ।
সরজমিনে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী থেকে পাথাইলকান্দি পর্যন্ত যমুনা নদীর তীরে স্থাপন করা করা হয়েছে ২৪টি বালু ঘাট। এসব বালু ঘাট থেকে প্রতিদিন দুই থেকে ৩০০ ট্রাক বালু সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন এলাকায়। আর এ বালু ঘাটকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা গড়ে তুলেছেন কনসোডিয়াম। সোডিয়ামের নামে বালু ঘাট থেকে সরবরাহ করা প্রতিটি ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। যার অংশ পাচ্ছে প্রভাবশালী কতিপয় নেতাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। বালু ঘাট মালিকরা চাঁদবাজির এ ঘটনায় ক্ষোভ থাকলে প্রভাবশালীদের চাপে কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা। গত কয়েকদিনে কনসোডিয়ামের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দেখা দিয়েছে আভ্যন্তরিণ কোন্দল।
একটি সূত্র জানায়, অক্টোবরের ১৫ তারিখ থেকে এ মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত এক মাসে বালু সরবরাহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩০০ ট্রাক। আর এসব ট্রাক থেকে ৪০০ টাকা হারে কনসোডিয়ামের নামে চাঁদা আদায় হয়েছে ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর এ টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়েই মূলত দেখা দিয়েছে কোন্দল। বালু ঘাট এলাকায় বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা।
এদিকে বালু ঘাটে নিজেদের অংশ বুঝে পাওয়ার লক্ষ্যে শুক্রবার সকালে মাটিকাটা এলাকায় জড়ো হয় প্রায় ১০০ মুক্তিযোদ্ধা। তারা রাস্তা অবরোধ করে বালু পরিবহন বন্ধ করে দেয়। ওই সময় বালু ঘাট মালিকদের সাথে তাদের বাকবিতন্ডাও হয়। বালু ঘাটের বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম এডভোকেট বলেন, বালু ঘাট থেকে কনসোডিয়ামের নামে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করা দরকার। কনসোডিয়ামের নামে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে নানা ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম সংগঠিত হচ্ছে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যেই এক ধরনের লোক এ ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো.মাহবুব হোসেন বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই