র‌্যাবের প্রধানকে গ্রেপ্তারের দাবি খালেদা জিয়ার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, দেশে কোনো সরকার নেই। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তারা লম্বা লম্বা কথা বলছে। প্রতিদিন ঘুম-খুন-রাহাজানি হচ্ছে। এটি এখন নিত্য দিনের ঘটনা।
মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থাপিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে নিজের আসন গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সরকার প্রধান ও র‌্যাব জড়িত। র‌্যাবের প্রধানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব তথ্য জানা যাবে। তারা আরও অনেক মানুষকে হত্যা করেছে।
এর আগে সকালে গুলশান থেকে রওনা হয়ে মঙ্গলবার দুপুর ৩টা ২৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে পৌঁছায় খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর। জনসভাস্থলে আসার আগে সার্কিট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন তিনি।
এদিকে খালেদার আগমন উপলক্ষ্যে সাড়া পড়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন সহ স্থানীয় ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মাঝে।
সমাবেশের মূল ভেন্যু নিয়াজ মোহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং এর আশপাশ ঘুরে দেখা গেছে সাজ সাজ রব। ইতোমধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকা।
খালেদার আগমন উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা এবং আশ-পাশের জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসেছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলের আশ-পাশের সড়ক ও অলি-গলিতে তোড়ন, ব্যানার, ফেস্টুন ও বেলুন উড়িয়ে খালেদা জিয়ার আগমনকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা।
এছাড়া ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে রূপগঞ্জ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে প্রিয় নেত্রী স্বাগত জানাতে মহাসড়কের দুই ধারে রং-বেরংয়ের ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। স্লোগানে-স্লোগানে ও ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তারা স্বাগত জানান খালেদা জিয়াকে।
এদিকে খালেদার আগমন উপলক্ষ্যে হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে মহাসড়কের স্থানে স্থানে সৃষ্টি হয় যানজট। খালেদা জিয়াকে এক নজর দেখতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি মহাসড়ক সংলগ্ন বাড়িঘরগুলোর ছাদ ও রাস্তায় এ সময় দেখা গেছে উৎসুক মানুষের ভীড়।
সন্ধ্যা ছয়টায় জনসভা শেষে স্থানীয় সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নেওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।


মন্তব্য চালু নেই