সিম নিবন্ধন
তথ্য যাচাইয়ে ইসির সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটদের চুক্তি
সিম নিবন্ধনে গ্রাহকদের আবেদনপত্রের তথ্য ও জাতীয়পরিচয় পত্রের তথ্য যাচাইয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ছয় মোবাইল ফোন অপারেটর।
মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জানিয়েছেন এনআইডি উইং পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন না করে সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয় সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটক, বাংলা লিংক, সিটিসেল, গ্রামীণ ফোন, রবি ও এয়ারটেল চুক্তির জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ভেরিফিকেশন সার্ভিস দেয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছে। ইসি যাদের বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছে তাদের সঙ্গেই পর্যায়ক্রমে চুক্তি সই হচ্ছে। ছয়টি মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হলো।
এ চুক্তির ফলে সিম নিবন্ধনে গ্রাহকের কিছু তথ্য মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো নির্ধারিত পদ্ধতিতে যাচাই করার সুযোগ পাবে।
তথ্য যাচাইয়ে নির্ধারিত চার্জ ও ফি দিতে হবে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে। এক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা এককালীন চার্জছাড়াও প্রতিটি তথ্য যাচাইয়ে ইসিকে দিতে হবে দুই টাকা হারে।
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ছাড়াও বেসরকারি দুটি ব্যাংক এ পর্যন্ত অনলাইন ভেরিফিকেশন সার্ভিস নিয়েছে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, গত জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি।
১৮ বছর ও তার বেশি বয়সী ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি ভোটারের তথ্য রয়েছে ইসির কাছে।
তথ্য যাচাই শুরু হওয়ার পর প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি সিম।
সিম পুনঃনিবন্ধন ও তথ্য যাচাইয়ের এ কার্যক্রম ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে, চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২০১৬ সালের এপ্রিলের পর থেকে অনিবন্ধিত সিমের জন্য অপারেটরদের সিম প্রতি ৫০ ডলার জরিমানার বিধান কার্যকর করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই