সুযোগ এসেছে ইসির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) উপ-নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুবিচার প্রত্যাশা করছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
রোববার দুপুরে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে বের হয়ে কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই জানান।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘সব জায়গায় শুনানি শেষে রায় দেয়া হয়। কিন্তু এখানে আমি কিছু কাগজপত্র দিয়েছি, তার বিচার-বিশ্লেষণ করে বিকেল ৫টায় রায় দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আমি কখনোই ঋণখেলাপী ছিলাম না, তা কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণও করেছি। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা তার দক্ষতার অভাবে আমার মনোনয়ন বাতিল করেছে। আমি আশাবাদি আইনের ধারা নির্বাচন কমিশন পরিচালিত হলে আমি সুবিচার পাবো।’
ইসিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এর আগে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ইসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই এবার সুযোগ এসেছে আমার মনোনয়ন ফেরত দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের।’
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় নির্বাচন কমিশনের কনফারেন্স রুমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ আপিল আবেদনের শুনানি শুরু করেন। তার সঙ্গে অপর চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১টায় কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী শুনানিতে অংশ নিতে ইসিতে পৌঁছান। গত ১৩ অক্টোবর টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ঋণখেলাপীর দায়ে তাদের দু’জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
এরপর গত শুক্রবার এ দুই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
মন্তব্য চালু নেই