বিচার চাওয়ায় নগ্ন করে পেটাল পুলিশ (ভিডিও)
মাত্র কদিন আগে গরুর ফসল খাওয়াকে কেন্দ্র করে ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক দলিত নারীকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে মূত্র খেতে বাধ্য করা হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে-না কাটতেই উত্তরপ্রদেশে এক দলিত দম্পতিকে প্রকাশ্যে নগ্ন করে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার নাকি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে জনগণের রক্ষক পুলিশ!
প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার ধানকুড় থানায় গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে পিটিআইয়ের সূত্রে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সুনীল গৌতম নামের একজন দলিত গতকাল বৃহস্পতিবার নইদা এলাকার ধানকুড় থানায় একটি ডাকাতির ঘটনায় এজাহার দায়ের করতে যান। কিন্তু পুলিশ ওই এজাহার না নিয়ে বাজারে রাস্তার মধ্যে কাপড় খুলে নগ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখে। একপর্যায়ে জামাকাপড় খুলে দম্পতিকে পেটায় পুলিশ।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে উত্তরপ্রদেশের হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত দৈনিক ‘হরিভূমির’ সূত্রও উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় পত্রিকাটির সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে ধানকুড় থানার আট্টা এলাকায় বসবাসকারী দলিত সুনীল গৌতমের বাড়িতে ডাকাতি হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনীল তাঁর স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে ধানকুড় থানায় এজাহার দাখিল করতে যান। কিন্তু এজাহারে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার নাম থাকায় পুলিশ অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করতে রাজি হয়নি। একপর্যায়ে ওই দম্পতিকে থানার ভেতরেই মারধর করা হয়।
মার খাওয়ার পর ওই দলতি দম্পতি থানার সামনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ না নেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। এতে পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দম্পতিকে মারধর করে এবং তাদের পরিধেয় কাপড় খুলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখে।
ন্যক্কারজনক এ ঘটনার পর স্থানীয় এক সাংবাদিক পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ পোশাক পরা এক ব্যক্তি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ওই দম্পতির কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলছেন। আর পাশেই দাঁড়িয়ে ঘটনাটি দেখছে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর সেই পুলিশও মারধরে অংশ নেয়। প্রকাশ পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। আর এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এদিকে, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুজনকে পুলিশ বলে চিহ্নিত করেছেন ওই দলিত দম্পতি।
গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার পুলিশ সুপার সরকারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেন, বিবস্ত্র করার কথিত ভিডিও পুলিশের কাছে রয়েছে। এতে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে, এ দম্পতি নিজেরাই বিবস্ত্র হয়েছে। ঘটনার সময় উপস্থিত লোকজনও এমনটি জানিয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করতেই ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে বলেও টুইটে দাবি করেন তিনি।
ভিডিও:
মন্তব্য চালু নেই