পাকিস্তান যেতে সরকারের সায়

অবশেষে পাকিস্তান খেলতে যেতে সরকারের অনুমতি পেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার বিসিবি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

কিছুদিন আগে পাকিস্তান ঘুরে আসে বিসিবির নিরাপত্তা পরিদর্শক দল। তারা দেশে ফিরে বিসিবিকে সবুজ সংকেত দেন। কিন্তু দেশটিতে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন বিসিবি কর্তারা।

বিসিবির এমন নীরবতায় চিন্তায় পড়ে পিসিবি। তারা হুমকিও দিয়ে রাখে, মহিলা দল না পাঠালে বিপিএলে কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে খেলতে দেয়া হবে না।

এমন ‘হুমকি’র পর বিসিবি থেকে জানানো হয়, তারা কোনো একক সিদ্ধান্ত নেবেন না। সরকারের অনুমতি পেলে তবেই দল পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, ২৭/২৮ তারিখে দল পাঠানো হতে পারে। এরই মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে কোন দলই ক্রিকেট খেলতে যেতে রাজি ছিল না। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে গেলে তাদের আশা বাড়ে এবার হয়তো অন্য দলগুলোও আসবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন টেস্ট খেলুড়ে দলই পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়নি।

এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক নাটকের পর শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের রুলের কারণে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বিপিএলে অংশ নেয়া বন্ধ করে দেয়। সেবার পাকিস্তানের ক্রিকেটার ছাড়াই চলে বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। অবশেষে সব টানাপড়েন কাটিয়ে আবারও বাংলাদেশে আসে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও নিয়ে দেশে ফিরে। তখন থেকে পাকিস্তান বোর্ডের দাবি ছিল বাংলাদেশ থেকে যে কোন একটি দল পাঠানোর। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সেই অনুরোধ রাখতে পাঠানো হচ্ছে মহিলা দলকেই।

পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পাকিস্তান মহিলা দলের বিপক্ষে তিনটি করে একদিনের ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তিতে দুটি করে একদিনের ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে বলে জানা গেছে। সবকটি ম্যাচ হবে করাচিতে।



মন্তব্য চালু নেই