‘আগে বুঝিনি, মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে’
‘বাংলাদেশের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে, তা আগে বুঝিনি। এবার অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর মানুষের এই ভালোবাসা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছি। বাংলাদেশের অনেক মানুষ, যাঁদেরকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তাঁরা নানা উপায়ে আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। দোয়া করেছেন, আমি যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠি। বাংলাদেশের মানুষের এই ভালোবাসার ঋণ আমি কোনোদিন শোধ করতে পারব না। তাঁদের সবার ভালোবাসা আমার মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।’—দীর্ঘদিন দেশের বাইরে চিকিৎসাসেবা নিয়ে দেশে ফেরার পর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী দিতি।
ব্রেন টিউমারের অপারেশন করাতে গত ২৫ জুলাই দিতি চেন্নাই গিয়েছিলেন। ভারতের চেন্নাইয়ে টানা ৫০ দিন চিকিৎসাসেবা নেওয়ার পর গতকাল রাতে নিজ শহর ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। ২৭ জুলাই চেন্নাই-এর একটি হাসপাতালে তাঁর মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করা হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে সম্পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন তিনি। এসময় তিনি চেন্নাইয়ে পুত্র প্রান্ত আর কন্যা লামিয়ার সঙ্গে আনন্দেই কাটিয়েছেন। ঘুরে বেড়িয়েছেন চেন্নাইয়ের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতেও।
শারীরিক অবস্থা এখন কেমন জানতে চাইলে দিতি বলেন, ‘এখন অনেক ভালো অনুভব করছি। খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তবে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে অরুচি দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকেরা আমাকে কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। চেষ্টা করছি সেভাবেই চলার। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
দিতি বলেন, ‘রেডিও থেরাপি দেওয়ার কারণে শরীরটা একটু দুর্বল লাগে। তাই আরও বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর না হয় শুটিংয়ের কথা ভাবব।’
১৯৮৪ সালে এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখের সন্ধানের প্রথম কার্যক্রম থেকে নায়িকা হিসাবে নির্বাচিত হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। এরপর অসংখ্য নাটক আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এবারের ঈদে দিতি অভিনীত ‘রাজাবাবু-দ্য পাওয়ার’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই