রাণীশংকৈলে ভুল সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা হলরুমে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মামুনুর রশিদ এলবাটের সভাপতিত্বে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে ভুল সংবাদ প্রতিবেদনে প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহব্বায়ক হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব (পুরাতন) উপদেষ্টা অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, রাণীশংকৈল প্রেসক্লাব সভাপতি (পুরাতন) কুসমত আলী, সম্পাদক সফিকুল ইসলাম শিল্পী, সাংবাদিক আশরাফুল আলম ও সাওন,

জানা গেছে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বাদী হুমায়ুন কবির লিখিত বক্তব্যে বলেন রাণীশংকৈল উপজেলা ৫নং বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি মৌজার জেল নং- ৫৭ সি এস খতিয়ান নং-০১, যার জমিদারি পরগণের মালদুয়ার কর্মনাথ গং নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। ১৯৫০ সালে সরকার কর্তৃক যায দাগ নং ৮৩৮,৮৯৬,৮৯৮ যাহা লাইক জংঙ্গল হিসাবে পরিত্যাক্ত ছিল। যার পরিমাণ ১৫ (পনের) একর ২৭ (সাতাশ) শতাংশ। সরকার বাহাদুরের কাছে ক্রয় করিয়া এস,এ খতিয়ান রায়তি হিসাবে হামেদা খাতুন খং নং ০৩, আজিজুল ইসলা, খং নং -০৪, আমিনুল ইসলাম, খং নং০৫, পিতা- জং মৃত – আব্দুর রহিম, হিসাবে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।

এ রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পরে ১৯৬৫ সনে বর্গাচাষী হিসাবে মুসা মিয়া, পিতা মৃত- লাল মিয়া, ও ওসমান গণি, পিতা মৃত- কালা মিয়া, আমার নানা আব্দুর রহিম ইহার হিসাব নিকাশ বুঝিয়া নিত। আমার মামা বর্তমান ৫নং বাচোড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল উসলাম কে উক্ত ৩টি দাগের কামাতবাড়িতে হিসাব চাইতে গেছে মুসা মিয়া ও ওসমান গণি ওয়ারিশগন ক্ষিপ্ত হইয়া আমার মামাকে অপদস্ত করে, এবং এক সময় চড়াও হইয়া হুমকি প্রদর্শণ করে বলে কিসের ফসল, জমি তো আমাদের বলে দাবি করে বসে।

তখন আমার মামা একজন সম্মানী ব্যক্তি হয়ে এবং বয়স বেশী হওয়ায় আমাকে উক্ত জমি আমোক্তা দিয়া উক্ত ৩ টি দাগের জিম আমার মামা সহ অন্যান্য ওয়ারিশগণ দেখাশুনার দায়িত্ব প্রদান করেন।

আমি উক্ত জমিতে দায়িত্ব পালন করিতে গেলে উক্ত বর্গাচাষীরা আমাকে হুমকি প্রদান করিয়া আমার মামার কামাত বাড়ি জ্বালাইয়া দেয়। কারণ জানিতে গেলে বর্গাচাষীগণ বলে আমাদের নামে জমি রেকর্ড রহিয়াছে। পরবর্তীতৈ ০৩,০৪,০৫ খং নং এর নিচের বিনা রেজিষ্ট্রি দলিলে ভিন্ন কালি মুসা মিয়া ও ওসমান গণির নাম আছে। ইহা কিছু ভূয়া ও জালিয়াতি চক্র হইতেছে। আমি মোঃ হুমায়ুন কবির ইহার তীব্র প্রতিবাদ করিতেছি।

অপর দিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সাড়ে ৪২ বিঘা জমিকে কেন্দ্র করিয়া বাদী ও বিবাদীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে হুমায়ুন কবির ১০ সেপ্টেম্বর রাণীশংকৈল থানায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫ এদিকে বিবাদী নুর আলম ৮ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও আদালতে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত মামলা মিথ্যা বলে হুমায়ুন কবির দাবি করেন এবং তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সঠিক ঘটনা ও তথ্যগুলি পত্রিকায় তুলে ধরার অনুরোধ জানান।



মন্তব্য চালু নেই