সম্পর্ক কতটা স্থায়ীত্ব পাবে? বুঝে নিন ৭টি কার্যকর কৌশলে
যদিও প্রতিটি সম্পর্কই অনন্য, তবুও একে দীর্ঘস্থায়ী করতে বেশ কিছু সাধারণ পদ্ধতির দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্থায়ীত্বের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হলো একসঙ্গে থাকতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া। আবার বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও একই ধাঁচের। তবে সম্পর্কটা টিকবে কিনা বা এটি স্থায়ী হবে কিনা, তা বেশ কয়েকভাবে পরিষ্কার হয়ে উঠতে পারে। মনোবিজ্ঞানী এবং সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের বহু গবেষণায় উঠে এসেছে ৭টি বিষয়ের কথা। এর মাধ্যমে আপনাদের সম্পর্কে স্থায়ীত্ব সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা মিলতে পারে।
১. বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করুন : ২০০১ সালে পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়, বন্ধুদের জিজ্ঞাসার করে সম্পর্কের অবস্থা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব। জুটি নিজেদের বিবেচনায় সম্পর্ক যেভাবে দেখেন, অন্যরা আর বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করতে পারে।
২. আন্তরিকতা আছে কি? : প্রেমিক বা প্রেমিকা, সম্পর্কের প্রতি প্রত্যেকের আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করে স্থায়ীত্ব। ২০০৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরকে গবেষণায় বলা হয়, এক সঙ্গে সময় কাটানো, অর্থের লেনদেন বা অন্য যেকোনো কিছু- এমন বহু বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরো বেশি দীর্ঘস্থায়ী করে। তাই আপনাদের মধ্যে আন্তরিকতা কেমন তা বোঝা হয়তো কঠিন কিছু নয়।
৩. অন্তরঙ্গ মুহূর্ত : দৈহিক সম্পর্ক অনেক গুরুত্ব রাখে। অনেকের মতে, বিয়ের আগে সেক্স ঠিক নয়। আবার অনেকে বলেন, এর মাধ্যমে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। কিন্তু সংস্কৃতি, ধর্ম, নৈতিকতার বিচারে বহু দেশে বিয়ের আগে সেক্স মেনে নেওয়া হয় না। তবে যৌনতা সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতি প্রভাবশালী শর্ত হিসেবে কাজ করে। এ সম্পর্কে জড়ালে তার প্রভাব উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।
৪. সঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে মেনে নিয়েছেন? : আপনি যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে তাকে কি সত্যিকার সঙ্গী-সঙ্গিনী হিসেবে অনুভব করেন? নাকি এ নিয়ে নানা সন্দেহ কাজ করে। আবার বন্ধুমহল বা পরিবার আপনাদের সম্পর্ক বিষয়ে বাধা হয়ে নেই তো? এসব বিষয় দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের অনুঘটক হয়ে কাজ করে। মানুষটিকে সঙ্গী-সঙ্গিনী হিসেবে কতটুকু মেনে নিতে পেরেছেন তা বুঝতে হবে।
৫. সমালোচনা সম্পর্কের বিষ : যারা একে অপরকে ক্রমাগত অপমান করতে ব্যস্ত থাকেন অথবা সমালোচনা করেন তাদের সম্পর্ক খুব দ্রুত স্থায়ীত্ব হারায়। মনোবিজ্ঞানী জন গটম্যান তার ৪০ বছরের গবেষণায় দেখেছেন, বিষয়টি খুব দ্রুত সম্পর্কে অবনতি ঘটায়।
৬. ইতিবাচক আন্তঃ যোগাযোগ কতটুকু? : কিন্তু ইতিবাচক যেকোনো আচার-ব্যবহার দুজনকে আরো কাছে আনতে সহায়তা করে। এক সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, লাঞ্চ করা, ছবি দেখা ইত্যাদি সম্পর্কে দৃঢ়তা আনে।
৭. অপরজন কতটা সুখী? : আপনাকে নিয়ে অপরজন কি আসলেই যথেষ্ট সুখী? নাকি তিনি দোটানায় ভুগছেন? আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে অপরজনের কতটা ভালো লাগছে, তা আপনি সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। প্রাথমিক অবস্থায় তা বোঝা যায় না। ৩,৫০০ দম্পতির ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা আগে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর মানসিক সুখের বিষয়টি বুঝতে পারেননি, তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের সম্ভাবনা ৬ গুণ বেশি থাকে।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
মন্তব্য চালু নেই