যেখানে চাকরি থেকে সহজে পাওয়া যায় ‘গার্লফ্রেন্ড’!
দক্ষিণ চিনের গুয়াংডং প্রদেশের ডংগুয়ান শহরে এলে প্রেম, ভালোবাসা সম্পর্কে ধারণাই পালটে যাবে। কীরকম ? ডংগুয়ান শহরে অধিকাংশ যুবকে দুই থেকে তিনটে সম্পর্কে জড়িত। অর্থাৎ একইসঙ্গে ৩ জন গার্লফ্রেন্ড। আরও মজার কারোর সঙ্গে কারোর কোনও ঝগড়াও নেই। এই কারণেই ডংগুয়ান শহরকে বলা হয় চিনের সেক্স ক্যাপিটাল বা যৌনতার রাজধানী। গল্প নয় সত্যি ঘটনা। তবে এর পিছনে ব্যাখ্যাও আছে।
পরিবার প্রতি এক সন্তান। বহু বছর ধরে কমিউনিস্ট শাসিত চিনে এই পরিবার নীতি চলে আসছে। সম্প্রতি পরিবার নীতিতে সংশোধন এনেছে শি চিনপিংয়ের সরকার। এর ফলে চিনে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ বহু ক্ষেত্রেই শোনা যায়। স্থানীয় কারখানাগুলিতেও কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ। এমনই অভিযোগ শোনা গেছে ডংগুয়ান শহরেও। সেখানে নাকি কারখানা কিংবা অফিসগুলিতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের নিয়োগ বেশি হয়। কারণ, ছেলেরা নাকি ফাঁকিবাজ (এই নিয়ে এদেশেও বিতর্ক কম নয়)। এবার কাজ কম তো হাতে সময় বেশি। এই সময় কাটাতেই নাকি সম্পর্কে জড়াতে পছন্দ করেন ডংগুয়ানের তরুণরা।
যেমন এক স্থানীয় তরুণ সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “এখানে চাকরির থেকে গার্লফ্রেন্ড খোঁজা অনেক সহজ।” স্থানীয় এক কারখানায় কাজ করা লি বিন তো আরও মজার গল্প শোনালেন, “আমার তিন জন গার্লফ্রেন্ড রয়েছে। তারা প্রত্যেকে একে অপরকে চেনে। এবং তাদের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। অনেক সময় তারা একসঙ্গে ঘুরতেও যায়।” আরও এক স্থানীয় যুবক বর্তমানে বেকার। তবে তাতেও চিন্তা নেই। কারণ, তাঁর খরচা সামলান গার্লফ্রেন্ড। তবে এ সবই সাময়িক। কারণ, বেশির ভাগ তরুণীদেরই পরে বিয়ে হয়ে যায়। তাহলে এরপর কী ? কী আবার, নতুন গার্লফ্রেন্ড খোঁজা শুরু হয়ে যায়!
মন্তব্য চালু নেই