ভোলায় মেঘনার পানি বৃদ্ধি লাখো মানুষের দুর্ভোগ, মেডিকেল টিম গঠন

ভোলায় মেঘনার জোয়ারের পানি কমলেও এখনো প্লাবিত রয়েছে ৫০টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি রয়েছে লাখো মানুষ।বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) মেঘনার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাবিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার ছিলো বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার উপরে।এদিকে, ভোলা সদর, দৌলতখান, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বাঁধের ভেতর ও বাইরে রাস্তাঘাট, বসতঘর, ফসলের খেত, পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।

ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মানুষ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিদিন দিনে দু’বার ভোর ও দুপুরে জোয়ারের পানি বেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করায় ঠিকমত রান্না-বান্নাও করতে পারছেন না বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ।অপরদিকে দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয়, জ্বরসহ পানি বাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়ায় ৭৫টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও বিশেষ ব্যবস্থায় দুর্গতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভোলার সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে একটি করে ও উপজেলায় সাতটিসহ মোট ৭৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইল সরবরাহ রয়েছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকিম বলেন, বুধবার সকাল পর্যন্ত মেঘনার পানি ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে।



মন্তব্য চালু নেই