বাংলাদেশে শিল্পীরা এক সময়ে এসে দুস্থ্য হবেন : আসিফ
‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ গানটা ছোট বড় সকলের মুখে মুখে থাকে । আর এই গানের মাধ্যমে ২০০১সালে গন মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন পপ-ধাঁচের সঙ্গীত শিল্পী আসিফ । তার গান শুনেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবেনা ।
ইদানিং আসিফ ফেইসবুকে লিখছেন সচেতনা মূলক অনেক কথা । লিখছেন তার জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাও। এবার তেমনি এক স্ট্যাটাস লিখলেন তিনি ।
বুধবার দুপুর ২.৩০মিনিটে বাংলাদেশে শিল্পীরা একটা সময়ে এসে দূঃস্থ হবেন, এমন একটি খবর প্রকাশ করেন । আওয়ার নিউজ বিডি’র সকল পাঠকের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে ।
বাংলাদেশে শিল্পীরা একটা সময়ে এসেদুস্থ্য হবেন, তারা চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রার্থী হবেন, এটাই জাতির কাছে বিগত কয়েক দশকে প্রমানিত সত্য। অন্তত আমার সতেরো বছরের ক্যারিয়ারে এ বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জনের সূযোগ হয়েছে। এগুলো নিয়ে লেখালেখি করতে চাইনি, কারন শিল্পীরা দূঃস্থ হয়ে চিকিৎসা সাহায্য চাইবে একদিকে,আরেকদিকে তথাকথিত গুনী প্রতিষ্ঠিত সম্মানিত সিনিয়ররা সিন্ডিকেট মেইনটেইন করে তাদের কোরামের শিল্পীদের চিকিৎসার জন্য জাতিকে ব্যবহার করবে, এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।
স্বীকৃতি’র কপাল ভালো তার সঙ্গে সবার সুসম্পর্ক রয়েছে,সে তার যোগ্যতায় সবার সহানুভূতি পাচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বীকৃতি’র চিকিৎসা চলবে। আজ যদি অন্য কোন জুনিয়র আর্টিস্টের এরকম অবস্থা হতো, আমি নিশ্চিত সীমাহীন সমুদ্রের আকাশে এতো এ্যালবাট্রস দেখা যেতোনা। কারণ স্বীকৃতির আগে আরো একজন জুনিয়রের বোনম্যারো সমস্যা হওয়ায় আমরা RYMB সদস্যরা একযোগে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলেও সিনিয়রদের কাছ থেকে ফুটোকড়ি পাওয়া যায়নি । অথচ আজ তারাই আমাকে ফোন দিচ্ছেন বারংবার।
‘ জয় বাংলা বাংলার জয়’ এই অমর গানের সুরকার মরহুম আনোয়ার পারভেজ, মরহুম পপসম্রাট আজম খান, কিংবদন্তী গায়ক মরহুম মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী স্যার, মুক্তির গানের অগ্রসেনা প্রয়াত বিপুল ভট্টাচার্য ( দাদা), সাবিনা ইয়াসমিন (আপা) , প্রয়াত স্বর্ণ কণ্ঠ খালিদ হাসান মিলু, প্রয়াত সঙ্গীত পরিচালক প্রনব ঘোষ, সুবীর নন্দী (দাদা) ,গুনী সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী(কাকা),মরহুম আবদুর রহমান বয়াতি, মরহুম গীতিকার কামরুজ্জামান কাজল, তরুণ প্রজন্মের খেয়া সহ সব চিকিৎসায় সিন্ডিকেট ছিলো। কুশীলবরা একই,তাদের নিজেদের কারো সমস্যা হলে ঝাঁপিয়ে পড়ে খালি হাতে, মিডিয়া কভারেজ নেয় নির্লজ্জ ভাবে। এবার শ্বেতপত্র প্রকাশের সময় এসেছে।
সত্যটা আমাকে বলতেই হবে,আঙ্গুল তুলেই আপনাদের বলতে চাইছি,ভন্ডামী ছাড়ুন,আমি সিন্ডিকেটের পরিচয় এবং কার্যক্রম সাধারন মানুষকে জানানো শুরু করলাম। লজ্জা থাকলে নিজেদের প্রমান করুন- আপনারা শুধুই গুনী শিল্পী,মানুষ কিনা প্রমান করার সময় এসেছে । আপনাদের যোগ্য উওরসূরীও পয়দা হয়েছে, তবে তাদের উপড়ে ফেলা হবে শেকড়শুদ্ধ। আর ভায়োলিন বাদক আলমাস ভাই মৃত্যুশয্যায়,খবরটা হয়তো আপনারা জানেন না,একজন যন্ত্র শিল্পীর মৃত্যুতে আপনাদের কিইবা যায় আসে,খাওয়া শেষ, মুখ মুছেন !
মন্তব্য চালু নেই