৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসতো : খাদ্যমন্ত্রী

‘পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায় বিএনপি’ এমন মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশে যদি ৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হতো তাহলে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসতো। গণতন্ত্র থাকতো না। উন্নয়নের অগ্রগতি ম্লান হয়ে যেত। নির্বাচনে না এসে এখনো বিএনপি বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে কবি নজরুল কলেজ অডিটরিয়ামে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল নায়ক ছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ পরিকল্পনা হয়েছিল হাওয়া ভবনে বসে। গ্রেনেড হামলার পরে ঘটনাস্থলে যাতে কোনো আলামত না থাকে সেজন্য আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। তারপরও বিচার কাজ চলছে। কোনো অবস্থাতেই এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের যেভাবে বিচার করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের একইভাবে বিচার করা হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু খুন হওয়ার পর দেশের মানুষ উন্নয়নের স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ আবারও তা দেখা শুরু করেছে।’

বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে অডিও ও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আন্দোলনের নামে বিএনপি যে অরাজক পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল আর সেই অবস্থা সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না।’

ছাত্রলীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘৬৯, ৭১ ও ৯০ সালের মতো অবস্থা ছাত্রলীগের আর নাই। সেই ঐতিহ্য তারা আর ধরে রাখতে পারছে না।’

ছাত্রলীগকে তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে কামরুল বলেন, ‘তোমরা ঐতিহ্য ধরে রাখো তাহলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হবে।’

কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুনের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- কলেজের অধ্যক্ষ ড. নুরুন্নাহার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খোকন, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই