ফেসবুকে জাল প্রোফাইল চেনার সহজ উপায় কী?

ফেসবুকে ফেক (জাল) আইডির ভিড়ে এখন আসল আইডিই চেনা বড় দায়। বিশেষ করে মেয়েদের আইডির ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরো প্রকট। আইডিটি ফেক নাকি আসল সেটা বুঝতে কষ্ট হয়। কীভাবে আপনি বুঝবেন আইডিটা ফেক?

প্রোফাইল পিকচার
বর্তমানে কিছু কিছু ছবি আছে যা অনেক ফেক আইডিতেই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করছে জাল আইডি ব্যবহারকারীরা। এই ছবিগুলি দেখলেই চেনা যায়। এসব ছবি যদি ব্যবহার হয়, তাহলে বুঝবেন ওই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আইডিতে শুধুমাত্র একটি ছবিও ফেক আইডির লক্ষণ। এছাড়া ফেক আইডিতে আসল সাইজের ছবি থাকে না, থাকে ছোট সাইজের বা কেটে নেওয়া ছবি।

বন্ধু তালিকা বা ফ্রেন্ডলিস্ট
আইডির বন্ধু তালিকা যদি পাবলিক করা থাকে, তাহলে দেখে নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে গোপন করা বন্ধু তালিকাও দেখা যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে বন্ধু তালিকায় যদি ৩/৪ হাজার বন্ধু থাকে তাহলে সেই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। ছেলেদের আইডির ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

পোষ্ট
আইডিতে যদি নোংরা বা খারাপ পোস্ট থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটা জাল আইডি। কেননা কেউই তার নিজ ফেসবুক আইডিতে নোংরা পোষ্ট দিয়ে নিজেকে সবার সামনে খারাপ বানাতে চায় না। এটা হলে বুঝবেন ওই আইডি ১০০ শতাংশ ফেক।

পেজ লাইক
আপনার সন্দেহের আইডিটি কী ধরনের পেজে লাইক দিয়েছে সেটা তার রিসেন্ট এক্টিভিটিতেই প্রদর্শন করে, আর টাইমলাইনে তো বটেই। যদি ফেক আইডি হয়, ১০-১২ টা প্রাপ্তবয়স্ক পেজ আপনার নজরে পড়তে পারে। এছাড়া খেয়াল করুন কেমন গ্রুপে সে যুক্ত। সাধারণত লোকে এমন গ্রুপে জয়েন করে যা তার স্কুল/কলেজ/ইউনিভারসিটি, কর্মক্ষেত্র, কোন সেবামূলক কাজ ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত। ফেক আইডি এসবের তোয়াক্কা করে না। যেখানেই গ্রুপ পায়, জয়েন করে ফেলে।

ইউজার নেম আর আইডি নেম একই কিনা দেখুন
এই জায়গাটায় অনেকেই ভুল করে ফেলে। এই ইউজার নেমটি একবারে বেশি বদলানো যায় না। তাই এটা হতে পারে আপনার জন্য ফেক বা রিয়েল আইডি বোঝার অন্যতম উপায়। মিলিয়ে দেখুন ইউজার নেম এবং সেই আইডিটির নাম একই কিনা।

পেজ লাইক ইনবাইট
কেউ যদি মেয়ের আইডি থেকে বারবার তার ফেসবুক পেজগুলি লাইক দেওয়ার জন্য ইনভাইট পাঠায় তাহলে বুঝতে হবে ওই আইডি ফেক। ওই আইডিটি খুলেছে তার ফেসবুক পেজের লাইক বাড়ানোর জন্য।

মোবাইল নম্বর দেওয়া
আইডি মেয়েদের নামে কিন্তু যদি দেখেন ওই আইডিতে এক বা একাধিক মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে, তাহলে বুঝতে হবে ওই আইডিটা ফেক। কারণ কোনও মেয়েই ফেসবুকে তার নম্বর দেয় না। দিলেও সেটা ‘অনলি মি’ করে রাখে যাতে কেউ দেখতে না পারে।



মন্তব্য চালু নেই