সাংবাদিকরা দলীয় নেতাকর্মী হলে সাংবাদিকতা থাকে না
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, সাংবাদিকরা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হলে সাংবাদিকতা থাকে না। মানিক মিয়া দৃষ্টান্ত দিয়ে গেছেন একজন সাংবাদিক দলীয় নেতা হতে পারেন না। ইত্তেফাকের সম্পাদক হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় পদ ত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সংহতি সম্মিলনে এসব কথা বলেন তিনি। দিগন্ত টিভির ৭ম বর্ষপূর্তিতে এই চ্যানেলের সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২০১৩ সালের মে মাস থেকে দিগন্ত টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। এই টেলিভিশন চ্যানেলটি দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান, যার চেয়ারম্যান যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী।
সাংবাদিক ও আইনজীবীদের উদ্দেশে করে তিনি বলেন, আজকে কোর্টে রাজনীতি, সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনীতি। কোনটার মধ্যে রাজনীতি নেই? দলীয় রাজনীতি নিয়ে থাকলে আপনারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলতে পারবেন না।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচারবিভাগের স্বাধীনতা না থাকলে দেশে গণতন্ত্র থাকে না বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই উপদেষ্টা।
কবি ফরহাদ মজহার বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আমাদের রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছেন। এটার কোনো ক্ষমা নেই।’
তিনি বলেন, ‘চিন্তার পার্থক্য , মতের পার্থক্য থাকলেও নৈতিক নীতির জায়গায় সকলকেই এক হতে হবে। যে শক্তি আমাদের ধ্বংস করতে চায়, ফাঁসিতে ঝুলাতে চায় সে শক্তির হাত থেকে আমাদের নিষ্কৃতি পেতে হবে।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমাদের যুদ্ধ করে যেতেই হবে। এই যুদ্ধের শেষ আমি অতি নিকটে দেখছি না।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকোমল বড়ুয়া, দিগন্ত টেলিভিশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই