জিনের দুই বাদশা আটক
প্রতারক চক্রের মূলহোতা কথিত জিনের বাদশাসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। মোবাইল ফোনে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— জেলার ডোমার উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ী গ্রামের সোহবার আলীর ছেলে চক্রের মূল হোতা সাইফুল ইসলাম (২১) এবং নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টুনির হাট এলাকার মফিজার রহমানের ছেলে হিমেল দীপ্ত (২৫)।
বৃহস্পতিবার নীলফামারী ও দিনাজপুর পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর শহরের নিমতলাস্থ ইউনিক আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করে।
প্রতারক চক্রকে ধরতে পুলিশকে রেকিং এবং ফাঁদ পাততে হয়েছিল। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় একাধিক মোবাইল ফোন, অসংখ্য মোবাইল সিম ও নগদ ৮৪ হাজার টাকা।
নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ফিরোজ কবির তাদের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই দু’জন মোবাইল ফোনে মানুষকে প্রতারিত করে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই প্রতারণার কাজে তারা মোবাইল ফোনে কমপক্ষে তিন শতাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করেছে। প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন জনের কাছে ফোন করে নিজেকে ঘনিষ্ঠজন দাবি করে। পরে জানায়, মা-বাবা কিংবা ভাই-বোন হাসপাতালে অথবা অন্য কোন স্থানে মারা গেছে। ১৫/২০ হাজার টাকার কারণে লাশটি ছাড়িয়ে আনতে পারছে না। কেঁদে কেঁদে তা জানিয়ে টাকা ধার চেয়ে বিকাশ নম্বর দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
হারিয়ে যাওয়া বা অপহৃত শিশু বা ব্যক্তি তাদের জিম্মায় রয়েছে বলে জানিয়ে মোটা টাকা দাবি করেও বিকাশের মাধ্যমে আদায় করতো।
এ ছাড়াও মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করে বিভিন্ন জনকে জানাতো— আপনার অমুক আপনজন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং মৃত্যুর মুখোমুখি। এই বিকাশ নম্বরে তাড়াতাড়ি টাকা পাঠান।
প্রতারক চক্রটি জিনের বাদশা সেজেও মোবাইল ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো বলেও জানা ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এই চক্রের আরো চারজনকে গত ৩ দিন আগে নীলফামারী শহরের বাবুপাড়া, ডোমারের চিকনমাটি ও ডিমলা বাবুরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই