আগৈলজঝাড়ায় পাঁচদিন ধরে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল ছাত্রী
বরিশালের আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা কর্তৃক নবম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার বিচার না হওয়ায় গত পাঁচদিন ধরে অভিভাবকেরা ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, চাঁত্রিশিরা গ্রামের বাসিন্দা নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাবিবা আক্তার গত ৯ আগস্ট বোরকা পড়ে স্কুলে আসায় স্কুল শিক্ষিকা ইসমতারা বেগম ওই ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করে ক্লাশ থেকে বের করে দেয়। এঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই শিক্ষিকা হাবিবার সহপাঠী চারজন ছাত্র ও তিন ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন। পরেরদিন ওই শিক্ষিকা তার লোকজন দিয়ে স্কুলের প্রতিটি ক্লাশ থেকে চাঁদত্রিশিরা গ্রামের শিক্ষার্থীদের বের করে দেন।
বিষয়টি মুহুর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে তাৎক্ষনিক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সমাধান বৈঠক বসলেও বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় ঘটনার পর থেকে গত পাঁচদিন পর্যন্ত হাবিবা আক্তারকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে তার অভিভাবকেরা।
এছাড়াও চাঁদত্রিশিরা গ্রামের ছাত্রীরা স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বখাটেরা তাদের যৌণনিপিড়র করে আসছে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। বখাটে কর্তৃক ছাত্রীদের উত্যক্তের ঘটনা কলেজ অধ্যক্ষকে অসংখ্যবার অবহিত করার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে চাঁদত্রিশিরা গ্রামের অভিভাবকেরা ছাত্রী হাবিবা আক্তারকে লাঞ্ছিত করার বিচার ও বখাটে কর্তৃক ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ, কলেজ অধ্যক্ষ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে পয়সারহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য চালু নেই