ব্রা কেনা ও ব্যবহারের সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন
নারী তার শরীরকে আকর্ষণীয় দেখাতে ব্যবহার করে থাকেন অন্তর্বাস বা বক্ষবন্ধনী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্রা এর আদল, সাইজ, রং, ডিজাইন অনেক কিছুই বদলেছে। দিন দিন নারীর হাল ফ্যাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেছে ব্রা। কিন্তু ব্রা ব্যবহারে অনেকেই সচেতন না। এর ফলে দেখা দেয় নানান শারীরিক সমস্যা। এই শারীরিক সমস্যা এড়াতে কি ধরণের ব্রা ব্যবহার করতে পারেন তাই তুলে ধরা হলো এখানে।
ব্র্যান্ড
ব্যাকলেস পোশাক নির্বাচন করলে এমন ব্রা পরুন যার স্ট্র্যাপ ট্রান্সপারেন্ট।পার্টিতে বা ডিস্কে ট্রান্সপারেন্ট ব্রা পরার মত আত্মবিশ্বাস আপনার আছে কী না খতিয়ে দেখুন। দামি ব্র্যান্ডের ব্রা-ই ব্যবহার করুন।
কম দাম নয়
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো শুধু মিষ্টি রং, সুন্দর ডিজাইন আর কম দাম দেখে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য সেটা কতটা উপযোগী অর্থাৎ কাপড়ের মানও দেখা প্রয়োজন৷ তাছাড়া কিছু ব্রা’তে স্তনের আকার আরও সুন্দর করতে ব্রা’র কিনারায় গোল করে স্টিল বা ধাতব পাত লাগানো হয়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতি বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে কী না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। ব্রা কেনার সময় দেখে নিন সেই হুক লাগানোর অনেকগুলো ঘর আছে কিনা। যে ব্রা-গুলিতে হুক লাগানোর জন্য একাধিক ঘর আছে সেগুলো কেনাই ভালো।
একাধিক দিন নয়
একসঙ্গে একাধিক ব্রা কিনুন। ব্রা ভালো রাখতে হলে এবং সঠিক মাপে রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হলে একই ব্রা সপ্তাহে দু’দিনের বেশি পরবেন না। সম্ভব হলে একদিনই পরুন। ইলাস্টিককে কয়েকদিন বিশ্রাম দিলে এর ইলাস্টিসিটি আবার আগের মত হয়ে যায় কিছুটা। তাই ব্রা কেনার সময় এক সঙ্গে একাধিক কিনুন, যেন বদলে বদলে পরা যায়।
মনে রাখুন স্বাস্থ্যের কথা
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যাদের স্তনযুগল অনেক বড়, তারা এক-দুই সাইজ ছোট বা খুব আঁটসাঁট ‘ব্রা’ পরেন, যা একদমই ঠিক নয়। কারণ এটা দেখতে যেমন ভালো লাগে না, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর৷ তাছাড়া বেশি আঁটসাঁট ‘ব্রা’ পরলে শ্বাসকষ্টও হয় অনেকের।
পুশ-আপ ব্রা
মূলত টিন এজাররা ভিতরে ফোম দেওয়া ব্রা বা পুশ-আপ ব্রা ব্যবহার করে। সারাদিন যে ব্রা গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকে তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তা জেনে নেওয়া দরকার অবশ্যই। অনেক স্পোর্টস ওয়েমেনরাও এই ধরণের ব্রা ব্যবহার করেন।
শরীর অনুযায়ী ব্রা
ওজন বাড়লে বা কমলে ব্রা-ও বদলে নিতে হবে। ভারী শরীর ও রোগাটে শরীরের জন্য ব্রায়ের মাপ আলাদা হবে।
মন্তব্য চালু নেই