‘সুযোগ হাতছাড়া’
আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। সেই আত্মবিশ্বাসে টেস্টেও কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বৃষ্টির বাধায় তা আর হয়নি।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, জয়-পরাজয় যাই হোক পুরো পাঁচদিন মাঠে থাকতে চায় বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াই হয়েছিল ২২০ ওভার। কিন্তু ঢাকায় চতুর্থদিন শেষ হলেও ম্যাচ হয়েছে মাত্র ৮৮.১ ওভার।
আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান বাংলাদেশ চেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ শিবির। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রোববার এমনটিই জানালেন।
চতুর্থ দিন খেলা হবে বলে বেলা বারোটায় মাঠে এসেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কিন্তু বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় ম্যাচের সম্ভাবনা। দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এক প্রশ্নের জবাবে ডানহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন,‘এটা হতাশাজনক। এখানে আমরা খেলতে এসেছি। আমরা যদি খেলাটাই খেলতে না পারি তাহলে তো আর কিছুই হল না। ভালো খেলি না খারাপ খেলি সেটা পরের বিষয়। ভালো খেলার চেষ্টাটা তো আমাদের করতে হবে।`
টেস্ট র্যােঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশ বোলারের তালিকার তিনজনই দক্ষিণ আফ্রিকার। শীর্ষে রয়েছেন ডেল স্টেইন। পরেই আছেন ভারনন ফিল্যান্ডার ও মর্নে মরকেল। স্বাভাবিকভাবেই তিন বিশ্বসেরা পেসারের বিপক্ষে খেলতে পারলে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু সেই সুযোগ আর পেল কই ব্যাটসম্যানরা?
আগামী পাঁচ বছরেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই। স্বাভাবিকভাবে সুযোগটি হারিয়ে হতাশ ব্যাটসম্যানরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বললেন সেই কথা, ‘এটা আমাদের জন্যে বড় একটা সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা সেই সুযোগটি হারিয়েছি। পুরো পাঁচদিন যদি দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারতাম তাহলে প্রস্তুতিটা খুবই ভালো হত। আমরা হারি-যিতি যাই হত, সেটা আমাদের কাজে দিত। কারণ আমরা বিশ্বের সেরা দলটির বিপক্ষে খেলতাম। এটা আমাদের জন্যে ভালো হত। আমরা আমাদের স্কিলগুলোকে আরও ঝালিয়ে নিতে পারতাম।’
মন্তব্য চালু নেই