সাকা’র মৃত্যুদন্ড বহাল
চট্টগ্রামের রাউজানে আওয়ামীলীগের মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল
একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধূরীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় চট্টগ্রামের রাউজানে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ উল্লাস ও আনন্দ মিছিল বের করেছে।
সাকা’র মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় উপজেলার আওয়ামীলীগসহ তার অঙ্গ সংগঠন গুলো প্রতিটি উইনিয়নে অবস্থানসহ হাটবাজারে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। সাকা’র নিজ বাড়ী গহিরা চৌমুহনীতেও আওয়ামীলীগ আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করে। উল্লাসের মধ্য দিয়ে তারা বের করে আনন্দ মিছিল।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাউজান থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দীন খান। উপস্থিত ছিলেন থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর আলী, জসীম উদ্দীন, নজরুল ইসলাম, নুরুল আবছার বাশি, ছাত্রনেতা নজরুল ইসলাম প্রমুখসহ আওয়যামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবন্দ।
উল্লেখ, ২০১০ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাকা চৌধুরীকে হরতালে গাড়ি ভাংচুরসহ আরো কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ২৯ জুলাই বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।
এরপর তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ২০১১ সালের ১৭ই জানুয়ারি৷ তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনাল ১-এ তার বিরুদ্ধে মোট ২৩টি অভিযোগের বিচার শুরু হয়৷
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪১ জন সাক্ষী দেন৷ আর সাকা চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষী দেন মোট চারজন।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মোট ২৩টি অভিযোগ ছিল৷ যে চারটি হত্যা-গণহত্যার দায়ে সাকাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো ৩ নম্বর (অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা), ৫ নম্বর (রাউজানের সুলতানপুর গ্রামে তিনজনকে গণহত্যা), ৬ নম্বর (রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় ৫০-৫৫ জনকে গণহত্যা) এবং ৮ নম্বর (চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মোজাফফর আহম্মদ ও তার ছেলে শেখ আলমগীরকে হত্যা) অভিযোগে। অন্যদিকে ২ নম্বর (রাউজানের গহিরা গ্রামের হিন্দুপাড়ায় গণহত্যা), ৪ নম্বর (জগৎমল্লা পাড়ায় ৩২ জনকে গণহত্যা) এবং ৭ নম্বর অভিযোগে (রাউজানের সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যা)।
মন্তব্য চালু নেই