‘মামলা থেকে বাঁচতে নির্বাচন সামনে এনেছেন খালেদা’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘নির্বাচনের জন্য নয়। অপরাধের মামলা থেকে বাঁচার কৌশল হিসেবে খালেদা জিয়া হঠাৎ করে নির্বাচনকে সামনে এনেছেন।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বুধবার দুপুরে পিরোজপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক তথ্য দর্পনের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বহু দুর্নীতি, মানুষ পোড়ানো এবং হত্যা মামলার সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে কিছু মামলা নিষ্পত্তির পথে ও কিছু মামলা হতে যাচ্ছে। বেগম জিয়া সরাসরি মানুষ পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত। এ সব মামলা থেকে বাঁচার জন্য হঠাৎ করে নির্বাচনের বিষয়কে সামনে আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচনের সময় নয়। এখন অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের দমনের সময়। জঙ্গিদের খুঁটি উচ্ছেদের সময়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অপরাধীদের বাঁচানোর দরকষাকষির কৌশল হতে পারে না। নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। আর সে সময়েই কেবল নির্বাচনের আলাপ হবে।’
তিনি বলেন, ‘সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আদালত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। এতে প্রমাণ হয় যে, যত বড় ক্ষমতাধরই হোক না কেন কোনো অপরাধীই আইনের উর্দ্ধে নয়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কোনো অপরাধীই পার পাবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারের আমলেই গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে। বর্তমানে গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের কোনো সংঘাত নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এই সরকার অতন্ত্র প্রহরির ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একমাত্র এই সরকারই সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গড়ে তুলেছে।’
প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্যা মো. আবু কাওছার, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহ আলম ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজ)’র সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, তথ্য দর্পনের প্রকাশক শফিউল হক মিঠু ও পিরোজপুর কথার সম্পাদক শহিদুল হক টিটো।
সভাপতিত্ব করেন, তথ্য দর্পনের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শামিম।
মন্তব্য চালু নেই