কার্যালয় ছাড়লেন খালেদার সঙ্গীরাও

খালেদা জিয়া বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয় ছেড়েছেন এতোদিন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সেখানে অবস্থানকারী নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাউয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খানসহ অন্য নেতারা সকালে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেছেন বলে নিরাপত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন।

জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আদালতের উদ্দেশ্যে গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গাড়িতে ওঠেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

দলের এই তিন নেতাও গত তিন মাস ধরে বিএনপি প্রধানের সঙ্গে গুলশানের ওই কার্যালয়ে ছিলেন।

খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আদালতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সঙ্গে সঙ্গে নজরুল ইসলাম, আব্দুল কাউয়ুম ও মারুফ কামালসহ অন্য নেতারা যে যার মতো করে চলে যান বলে ওই কার্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আব্দুল মোহন জানান।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি বলেন,“কার্যালয়ে এখন আর কোনো নেতা নেই। নিরাপত্তায় দায়িত্বে নিয়োজিত আমরা কয়জনই এখানে আছি।”

দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি গুলশানের ওই কার্যালয় থেকে বের হতে পুলিশের বাধা পান বিএনপি চেয়ারপারসন। ৫ জানুয়ারি কর্মসূচিতে বাধা পেয়ে লাগাতার অবরোধ ডেকে সেখানেই অবস্থান নেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গেই ওই কার্যালয়ে অবস্থান নেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউসহ বেশ কয়েকজন নেতা।

শুরুতে না থাকলেও কয়েক দিনের মাথায় কার্যালয়ে গিয়ে সেখানেই অবস্থান নেন নজরুল ইসলাম খান।

এরপর ওই কার্যালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমানের নামে গণমাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি পাঠানো হয়।

এদিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুর্নীতির দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখান তিনি সরাসরি গুলশানে নিজের বাসায় যাবেন বলে দলের কয়েক নেতা জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই