ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৫
‘৯২’ মনে করে স্মৃতিকাতর আফ্রিদি
পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করছেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপ থেকে। দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২০১১ বিশ্বকাপে। তবুও শহিদ আফ্রিদির মনে দাগ কেটে আছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ। গড়পড়তা একটা দল নিয়ে যে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইমরান খানের দল। সেই বিশ্বকাপ স্মৃতি রোমন্থন করে আফ্রিদি বলেন,‘ আমার বয়স তখন ১১ কী ১২ হবে। ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি রাস্তায়। আমি কখনোই ভাবিনি পাকিস্তান সব বাধা ডিঙিয়ে যাবে। কারণ বিশ্বকাপ শুরুতেই তারা অনেক ম্যাচে হেরে বসে আছে। আমার ভাবনা ভুল প্রমানিত করে পাকিস্তান সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল। এটা ঠিক ২৩ বছর আগের ঘটনা। এখনও আমার টুর্নামেন্টের ৮০-৯০ ভাগ মনে আছে এবং শেষ অবধি আমরা জিতেছিলাম।’
তারপর থেকেই আফিদির মনে আলাদা আসন পেয়ে যান ইমরান। কিংবদন্তি এই অলরাউন্ডারের প্রতি মুগ্ধতার কথা সময় সুযোগ পেলেই বলে দিয়েছেন তিনি। ‘ ড্রেসিংরুমে অনেকে খেলোয়াড় আমাকে বলেছেন, কী বিস্ময়করভাবেই না ইমরান দলকে জেতালেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপ স্মৃতি এবং গল্প আমাকে এগিয়ে নিয়েছে। এটা আমাকে কিভাবে নেতৃত্ব, প্রেরণা, আত্মবিশ্বাস এবং লড়াই করার শক্তি পাওয়া যায় তা শিখিয়েছে। আমি এই শিক্ষা আমার ক্যারিয়ারে প্রয়োগ করেছি। এটা আমাকে সাহায্য করেছে যখন আমি ২০১১ সালে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেই।’-বলেছেন আফ্রিদি।
১৯৯২ বিশ্বকাপ আফ্রিদির মনে এখনো অটুট। মনে আছে ১৯৯৬ বিশ্বকাপও। ব্যাঙ্গালুরুতে সেমিফাইনালে যেখানে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। ঠিক এর পরের বিশ্বকাপে (১৯৯৯) অভিষেক হয়েছিল আফ্রিদির। তার ভাষায়,‘ আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল ১৯৯৯। সবাই খুব কঠোর পরিশ্রম করার পরও আমাদের ফাইনালে হারতে হয়েছিল। পরের দুটি বিশ্বকাপ ছিল ২০০৩ এবং ২০০৭ সালে। বব উলমারের হঠাৎ মৃত্যু ২০০৭ বিশ্বকাপে আমাদের সবাইকে বিরাট ধাক্কা দেয়। টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পরও আমাদের কিছু দিন অপেক্ষা করে দেশে ফিরতে হয়েছিল। ওই সময় সবকিছু আমাদের বিপক্ষে গিয়েছিল। কেউই তাদের কক্ষে একা থাকতে পারছিলেন না। এক কক্ষে দুজন তিনজন করে থেকেছেন। এমনকি আমাদের সিনিয়র ইনজামাম-উল-হকও তাই করেছেন। আমি মনে করি এটা ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বাজে বিশ্বকাপ।’
২০১১ সালে উপমহাদেশের বিশ্বকাপ পাকিস্তান শুরু করে আফ্রিদির নেতৃত্বে। সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন,‘ ২০১১ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ছিল আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। বিশ্বকাপে পাকিস্তান বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব হারিয়ে ফেলেছিল। এর কয়েক মাস আগে স্পট ফিক্সিং কেলেংকারিতে পড়ে পাকিস্তান দল হারানো ফর্ম পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছিল। তাই পাকিস্তানের কাছে কারোরই বড় কোন প্রত্যাশা ছিল না। কেউই ভাবেননি আমরা ভাল করতে পারি। আমি সতর্ক হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছি এবং ছেলেদের উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা যেটা অর্জন করেছি সেটা কেউ আগে ভাবেননি। আমরা সেমি ফাইনালে গিয়ে হেরেছি।’
মন্তব্য চালু নেই