৯০ দিন ধরে চলে মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন, বাধ্য করা হয় দেহ ব্যবসায়
লালমনিরহাটের বালাপুকুর গ্রামের ১৫ বছরের এক কিশোরী। যাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে, কুমিল্লা নিয়ে যায় একটি চক্র। পরে তার ওপর ৯০ দিন ধরে চলে পাশবিক নির্যাতন। বাধ্য করা হয় দেহব্যবসায়। চক্রটিকে এই কাজে সহায়তা করে একই গ্রামের সোহেল। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে আসায়, উল্টো চুরির মামলা দেয়া হয়, ওই কিশোরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসি চান, দায়ীদের কঠোর শাস্তি। থামছেনা কিশোরী সম্পার কান্না। চোখের জল ঝরছে অঝরে। জীবনের ঘটে যাওয়া ৯০ দিনের অমানবিক নির্যাতনের কথা কিছুতেই ভুলতে পারছে না সে। দারিদ্রতার সুযোগে লালমনিরহাটের বালাপুকুর গ্রাম থেকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে, সম্পাকে কুমিল্লা নিয়ে যায় একটি চক্র। আর এতে সহায়তা করে একই গ্রামের সোহেল। চাকরি দেয়ার পরিবর্তে সেখানে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করা হয় তাকে।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গেলো ৪ নভেম্বর কুমিল্লা থেকে বাড়িতে পালিয়ে আসেন সম্পা। পালিয়ে আসায় তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় উল্টো চুরির মামলা দায়ের করেন, দেহব্যবসার মূলহোতা কল্পনা বেগম। এতে ৫ নভেম্বর বিয়ের আগের রাতে সম্পাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ভেঙ্গে যায় সম্পার বিয়ে। আর এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ তার পরিবার ও এলাকাবাসী। বিচারের দাবিতে সম্পার বাবা গেলো ১৭ নভেম্বর লালমনিরহাট মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আদালতে, একটি মামলা দায়ের করেন। সম্পাকে সব ধরণের আইনী সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদলতের নির্দেশনা মেনে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান, পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে, এমটাই দাবি এলাকাবাসীর। -চ্যানেল২৪
মন্তব্য চালু নেই