“৮ বছরের বিয়েতে একদিনও ওকে তৃপ্তি দিতে পারিনি”

বিয়ের সম্পর্কে ভালো এবং সুস্থ সেক্স অত্যন্ত জরুরি। চিকিত্‍সক এবং মনোবিদরা বলেন, সেক্স শুধুমাত্র শারীরিক তৃপ্তির জন্য নয়, বরং ভালো সেক্সের পর যে মানসিক তৃপ্তি তৈরি হয় তা সম্পর্কে আরও উষ্ণতা নিয়ে আসে। পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হয়। কিন্তু যদি সেই জায়গায় বড় ঘাটতি হয় তা হলে? তেমনই এক ব্যক্তি চিঠি লিখেছেন সাহায্য চেয়ে।

অমৃতেন্দু, নয়াদিল্লি (নাম পরিবর্তিত)

‘আমি ৩৩ বছর বয়সি পুরুষ। আমার স্ত্রীর বয়স ২৯ বয়স। আমাদের বিবাহিত জীবন ৮ বছরের। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা সেক্স করিনি। বিয়ের প্রথম ১-২ বছর যদিও মাঝে মধ্যেই আমরা শারীরিক ভাবে মিলিত হতাম।

এর পর আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমার লিঙ্গের মাপ এবং ইরেক্টাইল ডিসফাঙ্কশনের কারণে তৃপ্তির ধারে কাছেও পৌঁছতে পারিনি। এর পর থেকে সেক্স সব সময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার স্ত্রী সেক্স এবং বাচ্চা চান, কিন্তু আমার তাতে কোনও আগ্রহ নেই। সম্প্রতি চিকিত্‍সকের সঙ্গে পরামর্শ করে জানতে পেরেছি আমার ক্লিনফেল্টার সিনড্রোম রয়েছে। সেজন্য কখনও বাবা হতে পারব না। মনে মনে একটা ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছে আমি আর সেক্স করতে পারব না।

বর্তমানে আমরা আলাদা থাকছি এবং বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছি। আমি স্ত্রীকে খুবই ভালোবাসি। ওকে হারাতে চাইনা। নিজের পরিবর্তন করতে চাই যাতে আমি ওকে ফিরে পেতে পারি। এতে কোনও সাইকোলজিকাল থেরাপি আমায় সাহায্য করবে কি? ও আমায় আর বিশ্বাস করে না। শুধু আমার থেকে আলাদা থাকতে চায়। কিন্তু আমি ওকে নিয়েই বাঁচতে চাই। কী করব প্লিজ বলে দিন।’

উত্তর দিচ্ছেন ডা. অতুল আসওয়ানি:

হ্যাঁ সাইকোলজিকাল থেরাপি আপনাকে সাহায্য করবে। ভালো হত যদি এটা আপনি ৮ বছর আগেই শুরু করতেন। তবে শুরুতেই এখন আপনার একজন ম্যারেজ কাউন্সেলরের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। তবে একা গেলে হবে না। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যান। এতে মানসিক ক্ষত অনেকাংশ সেরে যায়।

দ্বিতীয় স্টেপে আপনি অ্যান্ড্রোলজিস্ট এবং এন্ডোক্রিনোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এঁরা আপনার শারীরিক সমস্যার সমাধানের পথ বাতলাতে পারেন। অন্তত সমস্যা কম করার উপায় বলতে পারবেন।
মনে রাখবেন, ভালো সেক্স বিয়ের সম্পর্কে আঠার মতো কাজ করে। আমি বহু সুখী দম্পতি দেখেছি যাঁদের সন্তান নেই। আবার অনেক অসুখী দম্পতি দেখেছি যাঁদের একমাত্র ‘কৃতিত্ব’ তাঁরা সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছেন।

আপনাদের ক্ষেত্রে দত্তক নেওয়া একটা ভালো অপশন হতে পারে। পরিচিত কারও সন্তান নিজের কাছে রেখেও মানুষ করতে পারেন। কিন্তু ভালো সেক্সের কোনও বিকল্প নেই। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক সখ্যতা ভীষণ বাড়ে এবং বজায় থাকে।

তবে এই গোটা ব্যাপার তখনই সম্ভব হতে পারে যখন আপনারা দু’জন একে অপরকে সময় দেবেন। এবং এক সঙ্গে চিকিত্‍সা শুরু করবেন। দরকার হলে তাঁর সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলুন। আপাতত ৬ মাসের জন্য আইনি ব্যাপারগুলোকে পিছিয়ে দিন। আপনি তাঁকে এটাও বলতে পারেন, যদি আপনি ৬ মাসের মধ্যে কোনও ফল না দেখাতে পারেন তবে মিউচুয়াল ডিভোর্সে আপনি রাজি হবেন। এতে তিনি ব্যাপারটি সিরিয়াসলি নেবেন।



মন্তব্য চালু নেই