৭ লাখে বিক্রি হলো আওয়ামী লীগের পুরনো ভবন

২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পুরনো ভবনটি সাত লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই ভবন ভাঙার জন্য ক্রেতা ঠিকাদারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি হলেও আসন্ন ঈদুল আজহার এক মাস পরই শেষ হবে ভবন ভাঙার কাজ।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় গিয়ে কথা হয় শ্রমিক সর্দার আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে।

তিনি জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ২৪ জন শ্রমিক ভবনটি ভাঙার কাজ করছেন। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভবন ভাঙার কাজ চলে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভবন ভাঙার কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।

এর পরই শুরু হবে ভবন নির্মাণের কাজ। আবু বকর সিদ্দিক জানান, ভবনটি ভাঙা শেষ হলে ভাঙা ইট-সুড়কি সরিয়ে ফেলার পরই ভিত্তির মাটি কাটার কাজ শুরু হবে। মাটি কাটার মেশিনে মাটি কাটা হলে ভবনের মূল নির্মাণ কাজ শুরু করবেন শ্রমিকরা।

তিনি জানান, ভবনটি ভাঙা থেকে শুরু করে নির্মাণ কাজ করবেন ঠিকাদার কামাল উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন। ঠিকাদারের প্রতিনিধি হিসেবেই তিনি এখানে কাজ করছেন।

চলতি বছরের ১৭ জুলাই থেকে পুরনো এই ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিলো। অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের আওয়ামী লীগের পুরনো অফিস ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের চারতলা ভবনটি ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে লিজ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেটা সেই সময় শেষ করা যায়নি। পরে বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদে ওই লিজ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগ। পাশে আরো কিছু জায়গাও দলীয় ফান্ড থেকে ক্রয় করা হয়েছে।

লিজ ও জমি ক্রয় প্রক্রিয়া শেষ হলে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকারি দল। পরে নকশা প্রস্তুত ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমোদনের পর এখন বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছেন তারা।

১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের অফিস স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকবার। পুরান ঢাকার কে এম দাশ লেনের রোজ গার্ডেনে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। ১৯৫৩ সাল থেকে ৯ কানকুন বাড়ি লেনে অস্থায়ী একটি অফিস ব্যবহার করা হতো।

১৯৫৬ সালে পুরান ঢাকার ৫৬ সিমসন রোডে দলের অফিস স্থাপন করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার পর এর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯১, নবাবপুর রোডে দলের অফিস নেন।

এর কিছুদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে কিছুদিন বসেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। স্বাধীনতা-উত্তর ১২২, সার্কিট হাউস রোডে কিছুদিনের জন্য আওয়ামী লীগের অফিস ছিল।

পরে আবারো পুরান ঢাকার নবাবপুরে অফিস স্থানান্তরিত হয়। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের বর্তমান অফিসটি ভাড়া নেয়া হয়।খবর জাগো নিউজের।



মন্তব্য চালু নেই