৬ কেন্দ্রের ভোট এক প্রতিষ্ঠানে, ভোগান্তিতে ভোটাররা
৬টি কেন্দ্রের প্রায় ১৪ হাজার ভোটারের ভোট নেয়া হচ্ছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কেন্দ্রগুলোর ভোটাররা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডের মিজমিজি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বৃহস্পতিবারের সকাল থেকেই এমন চিত্র দেখা গেছে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে ছয়টি কেন্দ্র করা হয়েছে। ছয় কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার ৩০৪ জন।
এরমধ্যে মিজমিজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ২ হাজার ৭১৩ জন। আর নারী ২ হাজার ৭৭৩ জন। মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নারী ভোটার ১ হাজার ৯২৬ জন ও পাশেই আরেক কেন্দ্র নারী ভোটার ২ হাজার ৪৩৯ জন।
এছাড়া মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যেই আরো দুটি কেন্দ্রে নারী ভোটার ১ হাজার ৯৪৮ ও পুরুষ ভোটার ২ হাজার ৫০৫ জন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, একটি মাত্র প্রতিষ্ঠানে ৬টি কেন্দ্র থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ভোটারদের। এ নিয়ে প্রায় সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হচ্ছে।
১৪ হাজার ৩০৪ জন ভোটারের বিপরীতে মাত্র ১২০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
ভোটারদের অভিযোগ, একইস্থানে ৬টি কেন্দ্র থাকায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। ভুল করে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরার পর খুঁজে পাচ্ছেন তাদের কেন্দ্র। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও কষ্ট করেই ভোট দেয়ার পর কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তারা।
অনেকে আবার সকাল ১০টায় লাইনে দাঁড়ানোর পর বেলা সাড়ে ১১টা পেরিয়ে গেলেও এখনও ভোট দিতে পারেননি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে কেন্দ্রটিতে দুই মেয়রপ্রার্থীকে নিয়ে তেমন উৎসাহ দেখা না গেলেও স্থানীয় কাউন্সিলর সমর্থকদের মাঝে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।
মিরমিজি সরকারি প্রাইমারি স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, তার কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ৪০ ভাগ ভোট নেয়া সম্ভব হয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত বলেন, সকাল থেকেই সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। একটি স্থানে ৬টি কেন্দ্র থাকায় একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তার সর্বোচ্চ দিয়ে পরাস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই