৬০ পেরোনো সফল উদ্যোক্তা দিলেন ৫টি মৌলিক পরামর্শ
গুগলে কিছু খুঁজে বের করতে ২৩ বছর বয়সী নাতনীর চেয়ে দক্ষ হয়ে উঠেছেন ন্যান্সি এন শেনকার। অথচ ন্যান্সি ষাটে পা দিয়েছেন। তবুও আধুনিক যুগের নাতনীর চেয়ে তিনি কম্পিউটারে দক্ষ। কারণটি হলো, ন্যান্সি ডিইউ ডেসিমেল সিস্টেম নিয়ে বড় হয়েছেন তিনি। তার মা জোর করে লাইব্রেরিতে পাঠাতেন মেয়েকে। সেখান থেকেই এ বিষয়ে জ্ঞান নেনে ন্যান্সি। ‘উইওয়ার্ক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন ন্যান্সি। সফল এ বৃদ্ধা সফলতা অর্জনে দিয়েছেন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। ন্যান্সি জানাচ্ছেন, আমরা এমন এক সময়ে বড় হয়ে উঠেছি যখন এনসাইক্লোপিডিয়া থেকে তথ্য নিতাম। বইয়ের পেছন বা সামনেটা পড়ে বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পেতাম। ৪৮ বছর বয়সে নিজের প্রতিষ্ঠান খোলেন ন্যান্সি। ব্র্যান্ড এক্সিকিউটিভ হিসাবে দীর্ঘ দিনের করপোরেট ক্যারিয়ারের পর তিনি শেখেননি কিভাবে কোডিং করতে হয়। কিন্তু অন্যান্য অনেক জিনিস শিখে ফেলেছেন ঠিকই। এসব জ্ঞান একটি ব্যবসাকে সফল করার জন্যে যথেষ্ট। এ অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি নতুন উদ্যোক্তাদের নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। এরা সবাই তার শিষ্য এবং শুভাকাঙ্ক্ষী। অনুজ উদ্যোক্তাদের জন্যে দেওয়া তার পরামর্শগুলো জেনে নিন।
১. আপনি এখনো শিখছেন। কাজেই নিজেকে সিরিয়াসলি নেবেন না। যত জানবেন ততই বুঝতে পারবেন, আপনারা কতটা কম জানেন। বয়স হলে বুঝবেন, যখন তিরিশে পা দিয়েছেন তখন কত কম জানতেন। আর সেটা চিন্তা করে তখন হাসবেন।
২. কিভাবে বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হয় এবং কখন ভুল চিহ্নিত করতে হয় তা শিখুন। সামান্য ভুলের বড় মাশুল দিতে হতে পারে।
৩. অপরিচিত মানুষের সঙ্গে সহজে কথা বলতে হবে। জীবনের নানা সময় বিভিন্ন জ্ঞানী ও অদ্ভুত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে। এদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে উঠুন। অফিসের নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং কথা বলুন।
৪. কেউ আপনাকে সহায়তা করলে তাকে ধন্যবাদ দিতে কখনো ভুল করবেন না।
৫. সব সময় কানে স্মার্টফোনের হেডফোন গুঁজে রাখবেন না। কারণ আইফোনের সিরি কখনো বলতে পারবে না জীবনের অর্থ কি? তাই বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিন। এর প্রয়োগ ঘটান।
মন্তব্য চালু নেই