৫ মিনিটের যে ৮ টি অভ্যাস পুরোপুরি বদলে দেবে আপনার জীবন!

স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য এই দুটো নিয়েই মূলত আমাদের জীবন যাপন। এই দুটোর একটিতে একটু সমস্যা হলেই জীবনের অর্থ পুরোপুরি পাল্টে যায়। অসহ্য মনে হতে থাকে সবকিছুই। জীবনটাকে দুর্বিষহ মনে হতে থাকে। কিন্তু এই স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রধান দায়িত্ব আপনার উপরেই বর্তায়। আপনার জীবন যাপনের অনেক বড় প্রভাব পড়ে এই দুটোর উপরেই। যদি জীবনটাকে অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক মনে হয়, যদি একেবারেই অসহ্য লাগতে থাকে তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের এই ছোট্ট অভ্যাসগুলো গড়ে নিন, দেখবেন জীবনটা পুরোপুরি বদলে গিয়েছে।

১) নিজের কাজ নিজে করুন

নিজের শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় ভাগ করে নিয়ে নিজের কাজ নিজে করে নিন। এতে অন্যের ভরসায় থেকে মন মেজাজ খারাপ হবে না এবং কাজের কারণে যে পরিশ্রম হবে তা আপনার দেহকেও সুস্থ রাখবে।

২) বিনা স্বার্থে সাহায্য করার মনোভাব রাখুন

চোখের সামনে কাউকে কষ্ট পেটে দেখে সাহায্য করার কথা ভাবছেন কেন? বিনা স্বার্থে এগিয়ে যান, সাহায্য করুন। আপনি তাৎক্ষণিক অনেক মানসিক প্রশান্তি পাবেন। আর মনে রাখবেন আপনার এই সাহায্য ঘুরে আপনার কাছে অবশ্যই আসবে।

৩) সব সময় ভালো ব্যবহার করুন

আপনার হয়তো অনেক খারাপ সময় যাচ্ছে, অনেক কষ্টে আছেন, কিন্তু এই ব্যাপারটি অন্যের উপর ঝারার কোনো অর্থ নেই। সব সময় ভালো ব্যবহার করার অভ্যাস রাখুন। ভেবে দেখুন, আপনি যেমন কষ্টে আছেন, সামনে যার সাথে আপনি খারাপ ব্যবহার করছেন তিনিও হয়তো আপনার মতো কোনো কষ্টে আছেন।

৪) প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করুন

আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না। একটি সময় বেশি লাগলেও আজকেই সেরে ফেলুন। কারণ কাল কতোটা কাজ করতে হবে তা হয়তো আপনি আজ জানেন না। এতে করে চিন্তাও শেষ হবে কাজও করা হয়ে যাবে।

৫) সিংকের উপর নোংরা বাসন ফেলে রাখবেন না

রাতে খেয়ে পরের দিন কাজের মানুষ আসার অপেক্ষায় নোংরা বাসন কোসন ফেলে রাখবেন না। নোংরা যতক্ষণ থাকবে তাতে জীবাণু ততোই বাড়তে থাকবে এবং দুর্গন্ধ আপনার বাসার পরিবেশই নষ্ট করবে। এরচাইতে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। পরিবারের সকলকে নিয়েও এই অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।

৬) অন্যের মুখে হাসি ফোটান

মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মতো সুখের কাজ অন্য আরেকটি নেই। যদি নিজের কষ্টটা কম করতে চান তাহলে অন্য আরেকজনের মুখে হাসি এনে দেখুন। অনেকটাই কষ্ট দূর হয়ে যাবে।

৭) নিয়মিত নিজের যত্ন নিন

প্রতিদিনের শারীরিক সুস্থতার কাজগুলো অবহেলা করবেন না। ঘরদোর পরিষ্কার রাখুন, নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করুন, নিজের বিছানা প্রতিদিন পরিষ্কার করুন, চাদর ও কভার বদলে দিন। আপনার ছোট্ট এই কাজগুলোতে আপনার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।

৮) হাসুন

হাসি স্বাস্থ্য ও মন দুটোর জন্যই স্বাস্থ্যকর। জীবনে কান্নার চাইতে হাসার অনেক কিছুই পাবেন। ছোটো একটি ব্যাপারে হাসা কিন্তু খারাপ কিছুই নয়, বরং এটিই আপনার মনের ভেতরের পবিত্রতা প্রকাশ করে। তাই হাসুন এবং অন্যের মুখে হাসি ফোটান।



মন্তব্য চালু নেই