৫ বছর ধরে ছাত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসা
পাঁচ বছর আগে বাগেরহাটের মংলা এলাকা থেকে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে যশোর যৌনপল্লীতে আটকে রাখা হয়। এরপর শুরু হয় নির্যাতন। গত পাঁচ বছর ধরে জোর করে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করায় যৌনপল্লীর নাইটগার্ড কাম কেয়ারটেকার আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী রাবেয়া।
শনিবার রাতে শহরের মাড়োয়ারি মন্দির সংলগ্ন যৌনপল্লী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- যৌনপল্লীর নাইটগার্ড কাম কেয়ারটেকার আবুল কাশেম (৪৯), তার স্ত্রী রাবেয়া (৪৫) ও শহরের খালধার রোডের নিকারীপাড়ার বাসিন্দা ইজার আলী বিশ্বাসের ছেলে হীরা (২৫)।
র্যাব-৬ এর কমান্ডার প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাঁচ বছর আগে অপহরণের শিকার ওই কিশোরী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় যশোর পতিতাপল্লীর নাইট গার্ডের স্ত্রী রাবেয়া ও আঞ্জু নামে আরেক নারী মেয়েটিকে চেতনানাশক খাইয়ে অপহরণ করে। পরে তাকে যশোর যৌনপল্লীতে আনা হয়। সেখানে জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি দেখতে পায়, সে একটি খুপড়ি ঘরের মধ্যে রয়েছে। এ সময় সে কান্নাকাটি করে বাড়ি যেতে চাইলে রাবেয়া ও তার স্বামী আবুল কাশেম মেয়টিকে মারধর করে। তার শরীরে সেই আঘাতের চিহ্ণ এখনও রয়েছে বলে র্যাব দাবি করেছে।
র্যাব আরও জানায়, গত পাঁচ বছর ওই স্কুল ছাত্রীকে আটকে রেখে যৌনকাজে বাধ্য করে কেয়ারটেকার আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী। মেয়েটির মায়ের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে শনিবার রাতে মাড়োয়ারি মন্দির সংলগ্ন যৌনপল্লীতে র্যাব অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটিকে থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য চালু নেই