৫ জানুয়ারি ‘কাগুজে বাঘ’দের খুঁজে পাওয়া যাবে না: হানিফ
বিএনপির নেতাদের কাগুজে বাঘ, মিডিয়ার বাঘ আখ্যায়িত করে ৫ জানুয়ারি কোনো সংঘাত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, হুমকি-ধমকি দিলেও ওই দিন কাগুজে বাঘদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শুক্রবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহানগর নেতাদের এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সামনে রেখে ঢাকা মহানগরে দলীয় সংসদ সদস্য এবং যেসব থানায় দলীয় সংসদ সদস্য নেই সেগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে যৌথ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নেয়া ৫ ও ১০ জানুয়ারির কর্মসূচি সম্পর্কে হানিফ সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারা দেশে দুপুর আড়াইটা থেকে বিজয় শোভাযাত্রা এবং বিকালে ঢাকার ১৬টি স্পটে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ সমাবেশ করবে।
এ ছাড়া ১০ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা আড়াইটায় সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন বলে হানিফ জানান।
৫ জানুয়ারি যেকোনোভাবে সমাবেশ করবে বলে বিএনপির ঘোষণায় আওয়ামী লীগ সংঘাতের আশঙ্কা করছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, “আমরা বলতে পারি, যারা এই কাগুজে বাঘ-মিডিয়া বাঘ, যারা মিডিয়াতে হুংকার দিচ্ছেন, ৫ তারিখে তাদের খুঁজে পাবেন না আপনারা।”
বিএনপির চ্যালেঞ্জ দলীয়ভাবে মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্দোলন-সংগ্রাম বা নির্বাচন প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। জনগণের পাশে থেকে যেকোনো অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখি।”
দেশে গণতন্ত্র আছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সম্পাদক বলেন, “গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি নেতারা যখন খুশি অশ্লীল বক্তব্য দিচ্ছেন।” এ সময় তিনি আরো বলেন, “তারেক রহমান তার বক্তব্যের জন্য যদি ক্ষমা না চান তাহলে ভবিষ্যতে বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ কোথাও সমাবেশ করতে দেবে কি না তা ভাবনার বিষয়।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আহমদ হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, ড. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু, ড. আবদুর রাজ্জাক, ফরিদুননাহার লাইলী, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী, কার্যনির্বাহী সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী প্রমুখ।
এ ছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন, সাংসদ ফজলে নূর তাপস, রহমতউল্লাহ, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, রহমতউল্লাহ, হাবিবুর রহমান মোল্লা প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই