৫০ শয্যার জনবল নিয়ে চলেছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল!
![](https://archive1.ournewsbd.net/wp-content/uploads/2016/03/cuya-900x450.jpg)
শামীম রেজা, জেলা সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা: ২০০৩সালে তিন সালে ৫০শয্যা থেকে উন্নীত করা হয় ১০০ শয্যায়। ১৮লাখ মানুষের জেলায় এই শয্যা সংখ্যা কম হলেও তার জন্যও নিশ্চিত করা যায়নি পর্যাপ্ত জনবল। অর্ধেক ডাক্তার ও নার্স নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ।
১৯৬৯ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই হাসপাতাল জেলার মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসা হয়ে ওঠে। কিন্তু জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গাবাসী।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন ইনডোর ও আউটডোর মিলিয়ে রোগী আসেন প্রায় ৩ শতাধিক। সেখানে মাত্র কয়েকজন চিকিৎসক দিয়ে দায়িত্ব পালন অনেকটা দূরুহ হয়ে পড়ে।
বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা হাসপাতালের কক্ষগুলোতে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। সেই ভিড় এসে থেমেছে হাসপাতালের বারান্দাগুলোতেও।
সেখানে চিকিৎসাধীন আশিকুর রহমান নামের এক রোগী জানান, সারাদিনের মধ্যে মাত্র দু বার ওয়ার্ড পরিদর্শনে আসে চিকিৎসকরা। এর মধ্যে আমাদের বড় কোনো সমস্যা দেখা দিলেও চিকিৎসকদের ডেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আনারুল ইসলাম নামের এক রোগী জানান, বর্হিঃবিভাগ থেকে টিকিট কেটে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখাতে গেলে তার কক্ষটি শূণ্য দেখা যায়। অনেকটা বাধ্য হয়েই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট শরনাপন্ন হতে হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিভা লাহিড়ী জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে যে কয়জন নার্স আছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই নগণ্য। যার কারনে চিকিৎসা সেবা দিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।এদিকে চিকিৎসকদের দাবি ১০০ শয্যার একটি হাসপাতালে যে সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা তা নেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মাসুদ রানা জানান, চাহিদার তুলনায় চিকিৎসক কম থাকায় রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা সিভিল সার্জন ডা. পীতম্বর রায় বলেন, জনবল বাড়ানোর জন্য একধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র দিলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই