৫০০, ১০০০ বাতিল হওয়ায় কত টাকা ক্ষতি হলো ডন দাউদ ইব্রাহিমের?

১৯৯২ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ থেকে ২৬/১১-র হামলার জেরে দাউদ ইব্রাহিমকে প্রত্যর্পণের জন্য বার বার পাকিস্তানের কাছে আবেদন রেখেছে ভারত। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভারতীয় জনমানসে দাউদ এক ‘ভিলেন’ ছাড়া আর কিছুই নয়। মুম্বইয়ের বুকে তার মাফিয়া রাজ প্রথমে দেখেছিল দেশবাসী। কিন্তু, সেই মাফিয়া সাম্রাজ্যের হাত ধরে নিজেকে ডন বলে প্রমাণ করতে মুম্বইয়ে বিস্ফোরণ করিয়েছিল দাউদ। এরপর থেকে দাউদকে গ্রেফতারের নানা চেষ্টা হয়েছে কোনও লাভ হয়নি। মুম্বই বিস্ফোরণের পরই দুবাইয়ে আত্মগোপন করেছিল দাউদ। সেখান থেকে সে পাড়ি দেয় করাচিতে। গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে সেখানে বসবাস করছে দাউদ ইব্রাহিম। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় একদম উপরের দিকে আছে দাউদের নাম। অবশ্য করাচিতে বসেই ভারতে তার অন্ধকার দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে সে। সম্প্রতি দাউদের অন্যতম প্রধান ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কালো টাকাকে সাদা করা এবং ভারতের বাজারে জাল নোট ঢোকানোর ব্যবসা। সম্প্রতি কালো টাকাকে সাদা টাকা করার চক্করে ৪০ কোটি টাকারও বেশি তার ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তানের মদতে আইএসআই-এর সাহায্যে ভারতের বাজারে কালো ঢোকানোর কাজও করে দাউদ।

কিন্তু, নোট বাতিল বিতর্কে এখন নাকি মাথায় হাত পড়েছে তার। দাউদের এই মুহূর্তে অন্তত ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল করতে মোদী যেভাবে ৩ ঘণ্টার নোটিস দিয়েছিলেন তাতে দাউদ দিশেহারা যায়। এই ৫০ হাজার কোটি টাকাকে বাজারের ভ্যালুতে কীভাবে পরিবর্তন করা যায় তা নাকি ঠিক করেই উঠতে পারছে না করাচিতে বসে থাকা ডি-কোম্পানি। এই ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আছে কালো টাকাকে সাদা করা থেকে নিজের মাফিয়া সাম্রাজ্য থেকে আয় হওয়া অর্থ এবং পাকিস্তান থেকে ভারতের বাজারে ঢোকানোর জন্য পাওয়া জাল নোটের সব বান্ডিল। কারণ, দাউদ যে পদ্ধতিতে তার আয়কে আইনসম্মত করে তার জন্য তার লোকেদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা থাকতে হবে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নয়া ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোট পর্যাপ্ত পরিমাণে দাউদের লোকেদের হাতে পৌঁছয়নি। তাছাড়া, নয়া ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট জাল করা কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সুতরাং, বসে বসে ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হজম করা ছাড়া দাউদের কাছে এই মুহূর্তে কোনও রাস্তা নেই বলেই দাবি তাঁদের।



মন্তব্য চালু নেই