৪৫৪ রানে অলআউট পাকিস্তান
এক ইনিংসে পাঁচজন ব্যাটসম্যানের রান ৫০-এর ওপর। দুটি আবার ছুঁয়েছে তিন অংকের ঘরও। পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে এমন চাঁদের হাট কবে বসেছিল! পরিসংখ্যান খুঁজে বের করতে হবে। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই সেঞ্চুরি আর তিন হাফ-সেঞ্চুরিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার সামনে রানের পাহাড় গড়েছে পাকিস্তান।
দুবাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে পাকিস্তানের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, যেন তারা টি২০ কিংবা ওয়ানডে খেলছে। ৮০ বলে সরফরাজ আহমেদ দ্বিতীয়বারেরমত টেস্ট সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছাই দেখিয়ে দেয়, কতটা তাড়াহুড়া করে রান তুলতে চেয়েছে তারা।
আগের দিন ২২৩ বলে ১০৬ রান করে বড় ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়ে যান অভিমান ভেঙে দলে ফিরে আসা ইউনিস খান। প্রথম দিন ৩৪ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক রানে ফিরলেন ভালোভাবেই। করলেন ক্যারিয়ারের ২৬তম অর্ধশতক।
যদিও ১৮২ বলে ৬৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। তার সঙ্গে প্রথমদিন ৯ রানে ক্রিজে থাকা আসাদ শফিক মাত্র ১১ রান দুরে থাকতে পঞ্চম সেঞ্চুরি মিস করেন । ও’কিপের ঘুর্নি বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন শফিক। দৌড়ে গিয়ে বলটি তালুবন্দী করেন মিচেল মার্শ।
কিন্তু দুরন্ত গতিতে ব্যাট করতে থাকা সরফরাজ আহমেদ ৮০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পর ১০৫ বলে ১০৯ রান করে আউট হয়ে যান। সরফরাজ যখন আউট হন তখনই দলীয় রান ৪৫৪। এরপর কোন রান না করে আউট হয়ে যান রাহাত আলি। আহত হয়ে চা বিরতির পর আর ব্যাট করলেন না জুলফিকার বাবর।
অসি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন মিচেল জনসন। ৩১ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। মেডেন দিয়েছিলেন ১৮টি। অভিষিক্ত স্টিভ ও’কিফে ৩০ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে ৪ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ১১ রান করেছে। ক্রিজে আছেন ক্রিস রজার্স ৫ রান নিয়ে এবং ডেভিড ওয়ার্নার ৬ রানে।
মন্তব্য চালু নেই