৩ দিনব্যাপী নারী ইজতেমায় হাজারো মুসল্লি

টঙ্গীর তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমায় নারীদের অংশ নেয়ার সুযোগ না থাকায় নাটোরে নবম বারের মতো নারী ইজতেমা শুরু হয়েছে। বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখাড়া ইসলামিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্থানীয় ইমাম আব্দুল মোতালেবের আমবয়ানের মাধ্যদিয়ে এ ইজতেমা শুরু হয়।

ইজতেমার প্রথম দিনই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা হাজারো মুসল্লির পাশাপাশি ভারত থেকেও অনেক নারী মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। চলছে বয়ান।

গেলো আট বছর ধরে এ ইজতেমা দুই দিনব্যাপী হয়ে আসছিল। এবারই প্রথম তিন দিনব্যাপী ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নেয় আয়োজকরা।

তারা জানায়, ইজতেমায় প্রধান আলোচক হিসাবে বয়ান করবেন চট্টগ্রামের দেলোয়ার হোসেন যুক্তিবাদী। এছাড়া পাবনার মাওলানা আমজাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, বগুড়ার রাবেয়া বসরী ও রাজশাহীর ফাতেমা খাতুন বয়ান করবেন।

২৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের এই নারী ইজতেমা। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অধ্যাপক ড. হাফিজা নাসীর।

আয়োজকদের পক্ষে হাজী শের আলী শেখ জানান, ইজতেমায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মহিলাদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাতে নাটোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ৫০ হাজার মহিলার সমাবেশ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফুন্নেসা বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ ইজতেমা যেন সার্বিকভাবে সফল হয়, সেজন্য প্রশাসন সব রকমের সহযোগিতা করছে।’

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় মহিলা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমায় নারীরা যেতে না পারায় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মৌখড়ার সমাজসেবক হাজী শের আলী শেখের উদ্যোগে প্রথম বারের মতো ২০০৭ সালে এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়।

প্রথম বারেই স্থানীয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১০ হাজার মহিলার সমাগম ঘটে ইজতেমায়। এরপর থেকে প্রতি বছরের শীতের শেষ দিকে ও জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে এখানে নারী ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এ ইজতেমায় দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি ভারতসহ কয়েকটি দেশের মহিলারা ইজতেমায় অংশগ্রহণ করে।



মন্তব্য চালু নেই