৩৩০০ কোটি কালো টাকা নিয়ে বিপদে ভারতীয় অভিনেতা!

কেবল কালো টাকার মালিকরা নয়, এক নামী অভিনেতার সঞ্চয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা। দাবি করা হচ্ছে, নিজের কালো টাকার সম্পত্তিকে বাঁচাতে যে পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন, কার্যত সেই পদক্ষেপের কারণেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে তাঁর কালো টাকার ভাণ্ডারের খবর।

ভারতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পর থেকে বিপাকে পড়েছে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কালো টাকা ও জাল টাকার কারবারিরা। নিজেদের টাকা গুপ্ত সম্পত্তি সুরক্ষিত রাখতে নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। কিন্তু সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, কেবল কালো টাকার মালিকরা নয়, এক নামী অভিনেতার সঞ্চয়েও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কালো টাকা। দাবি করা হচ্ছে, নিজের কালো টাকার সম্পত্তিকে বাঁচাতে যে পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন, কার্যত সেই পদক্ষেপের কারণেই প্রকাশ্যে এসে গেছে তাঁর কালো টাকার ভাণ্ডারের খবর।

মোহনলাল মালয়লমাম ছবির জনপ্রিয় নায়ক। দিন কয়েক মোদি নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে টুইট করেছিলেন মোহন। বাম শাসিত কেরালার অনেক মানুষই বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেননি। বিশেষত বাম-ঘেঁষা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের তীব্র আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয় মোহনলালকে। সেই বিতর্ক একটু থিতিয়ে আসতে-না-আসতেই কালো টাকাকে কেন্দ্র করে এক মারাত্মক অভিযোগ উঠল মোহনলালের বিরুদ্ধে।

গত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, নোট যে বাতিল হতে চলেছে, তা ৮ নভেম্বরের আগেই কোনও সূত্র মারফৎ জানতে পেরেছিলেন মোহন। তাই তড়িঘড়ি কুয়েত-নির্ভর একটি পেট্রোলিয়ম কম্পানিতে ৩৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়ার এই সমস্ত পোস্টকে বিশুদ্ধ গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, কারণ যাঁরা এই সমস্ত পোস্ট করছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সমাজের বেশ কিছু গণ্যমান্য মানুষও। যেমন নামকরা সমাজকর্মী জাহাঙ্গির পালাইল থারাকাপোট্টামেল তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, কুয়েতের বেশ কিছু সংবাদপত্রেও নাকি মোহনলালের এই বিনিয়োগের খবর প্রকাশিত হয়েছে।

এই সমস্ত মানুষদের বক্তব্য, যে বিনিয়োগ তিনি করেছেন তার সবটাই কালো টাকা। কারণ স্বাভাবিকভাবে মোহনলালের পক্ষে ৩৩০০ কোটি টাকা উপার্জন করা কখনওই সম্ভব নয়। ফলে এই টাকার পুরোটাই হিসাব বহির্ভূত আয়, এবং এর জন্য দেয় আয়করও মোহনলাল দেননি।

অভিনেতার ভক্তেরা অবশ্য গোটা বিষয়টিকেই অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাছাড়া তাঁরা আরও বলছেন যে, যদি অভিযোগ সত্যিও হয় তাহলেও বিদেশে উপার্জিত অর্থের জন্য আয়কর দেওয়ার কোনও আইনি দায়বদ্ধতা মোহনলালের নেই।

অদ্ভুত বিষয় হল, যে মানুষটিকে নিয়ে এত শোরগোল সেই মোহনলাল কিন্তু গোটা বিষয়টি সম্পর্কে নীরব রয়েছেন। তার ফলে আরও বাড়ছে ধোঁয়াশা। আশা করা হচ্ছে, অভিনেতা শীঘ্রই নিজে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মুখ খুলবেন।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই