নারায়ণগঞ্জ-৫ উপনির্বাচন
৩০ শতাংশ ভোট জালিয়াতি: ইডব্লিউজি
নারায়ণগঞ্জ-৫ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ১৮টি ভোট জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট ভোটের শতকরা ৩০ ভাগ জালিয়াতি হয়েছে। এছাড়াও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে তিনটি।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে তৈরি একটি প্রতিবেদনে এসব দাবি করে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচন ফলপ্রসূভাবে পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে ইডব্লিউজি ১৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টিতে ৬০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে।
ইডব্লিউজি জানায়, এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষণকৃত ভোটকেন্দ্রসমূহে ভোট প্রদানের গড় হার ৪৩ দশমিক ৫ ভাগ হলেও জাল ভোটের কারণে এই পরিসংখ্যানে ভোট প্রদানের প্রকৃত হারের প্রতিফলন ঘটেনি।
এছাড়া পর্যবেক্ষণকৃত কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ধামগড় এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে সাত থেকে আট জন লোক প্রবেশ করে বিপুল সংখ্যক ব্যালট পেপার নিয়ে তাতে সিল মেরে ব্যালটবাক্সে ঢুকিয়ে দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুপুর ২টার পর ১৩ নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে অবৈধভাবে কিছু লোক প্রবেশ করে। এসময় ঐসব কেন্দ্রে প্রাক্কলিত ভোট প্রদানের হার ছিল ১০ ভাগ। কিন্তু আধঘণ্টা পরেই এই হার ৪০ ভাগে পৌঁছে যায়।
একই ভাবে ১৫ নং ওয়ার্ডের একটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩২। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৯০টি ভোট পড়ে। এসময় ইডব্লিউজির পর্যবেক্ষককে আধা ঘন্টার জন্য বের করে দেয়া হয়। এবং এর ঠিক আধঘণ্টার মধ্যে আরো ২৭৮টি ভোট পড়ে। কিন্তু এই ভোট কিভাবে আসলো সেটা পর্যবেক্ষকদের দেখতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করে সংগঠনটি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ (জানিপপ) এর চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রয়েছে, তাতে পরিমাপ করলে এটি একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
এএসপি বশিরকে হুমকি দেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কলিমুল্লাহ কৌশলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘এমন ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা ঘটেলে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে সে ব্যাপারে উদ্যেগ নিতে হবে।’
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের ২৯টি প্রতিষ্ঠিত সিভিল সোসাইটির সমন্বয়ে গঠিত হয় ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)।
মন্তব্য চালু নেই