৩০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া বিপুল ধনরত্ন উদ্ধার

৩০০ বছর আগে বিপুল ধনরত্ন নিয়ে ক্যারিবিয়ান সাগরে ডুবে যাওয়া স্পেনীয় জাহাজ সান হোসের খোঁজ মিলেছে। পেরু থেকে লুট করা সোনা, পানামার মুক্তা, আন্দিজ পর্বতমালার পান্না, এমেথিস্ট এবং হীরা্- টন টন রত্ন ছিল ওই জাহাজে। আরও ছিল কোকো, নীল, চামড়া ও বহুমূল্য কাঠ।

কিন্তু এই সম্পদ নিয়ে এখন তিন পক্ষে চলছে টানাটানি। আর তা গড়িয়েছে মামলা পর‌্যন্ত।

১৭০৮ সালের জুন মাসে দক্ষিণ মেরুর ক্যারিবিয়ান সাগরে ওই ধনরত্ন ডুবে গিয়েছিল স্পেনীয় আর্মাদার সবচেয়ে শক্তিশালী জাহাজটি।

সম্প্রতি কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্টোস ওই সম্পদ পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, কলম্বিয়া উপকূলে পাওয়া গেছে ওই বিপুল ধনরাশি। এই আবিষ্কার মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যেখানে এই সম্পদের খোঁজ মিলেছে, সেই কারতাজেনা দ্বীপে একটি জাদুঘর তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।

কিন্তু টন টন এই সোনা-জহরতের ভাগিদার দাবি করে মাঠে আছে আরও দুই পক্ষ্। আগে থেকেই কলম্বিয়ার সঙ্গে চুক্তিসূত্রে দাবিদার ছিল মার্কিন একটি সংস্থা। আর এখন তাতে নতুন করে যোগ দিল স্পেন।

ভারতের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, অষ্টদশ শতকের শেষ ভাগে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ লুট করে ফিরছিলেন স্পেনের শাসকরা। পথে কারতাজেনা দ্বীপের কাছে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া হয় ধনরত্নবাহী জাহাজ সান হোসেকে। ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল চার্লস ওয়েগার সোনা লুট করার উদ্দেশ্যে জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটান বলে অভিযোগ ওঠে। জাহাজে অবস্থান করা ৬০০ জনের মধ্যে ১১ জন ছাড়া বাকি সবার সলিল সমাধি হয়। এর পর দশক পেরিয়ে শতক কেটেছে দুটি। কেউ আর এই নিয়ে মাথা ঘামায়নি।

গত শতকের আশির দশকের গোড়ার দিকে একটি মার্কিন সংস্থা সি সার্চ আর্মাদা কারতাজেনা দ্বীপ থেকে ১৬ মাইল দূরে সমুদ্রের ৩০০ মিটার গভীরে সন্ধান পায় বিপুল ধনসম্পদের।

গত ২৭ নভেম্বর এই আবিষ্কারকে সরকারি স্বীকৃতি দেয় কলম্বিয়া সরকার।

এরপর সি সার্চ আর্মাদা দাবি করে, উদ্ধার হওয়া সম্পদের ৩৫ শতাংশ তাদের দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কলম্বিয়া। এ নিয়ে কলম্বিয়া সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তিও সই হয়েছিল। কিন্তু কলম্বিয়া সরকার এখন তা অস্বীকার করছে্- এমন অভিযোগ এনে সম্পদের ভাগ চেয়ে মামলা করে মার্কিন সংস্থাটি।

এদিকে ওই ধনরত্নের ভাগ চেয়ে স্পেনও মাঠে নেমেছে।



মন্তব্য চালু নেই