২৭ বছর বয়সেই বিশ্বভ্রমণ করা প্রথম নারী ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল
নতুন নতুন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পেলে কী করবেন আপনি? নিশ্চয়ই ভাবছেন, বেড়িয়ে পড়বেন দিক-বিদিক জয় করতে? কিন্তু স্বপ্নের জীবন হিসেবে ভবঘুরে জীবনকে বেছে নেয় এমন মানুষ খুব কমই আছেন পৃথিবীতে। সবাই চান একটা ছিমছাম সাজানো গোছানো জীবন। শুধু রোমাঞ্চপ্রিয় কিছু মানুষ আছেন প্রকৃতি যাদের টানে চুম্বকের মত, দূর্গমকে পাড়ি দেওয়ার নেশা কেড়ে নেয় যাদের রাতের ঘুম। তারা ছুটতে থাকেন একের পর এক নতুনকে জয়ের নেশায়। তেমনই একজন মানুষ ক্যাসান্ড্রা ডি পেকল।
একজন মানুষ ৫০ টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। শুনেই নিশ্চয়ই চোখ চকচক করছে আপনার? আপনি যদি শোনেন ১০০ টি দেশ ভ্রমণের কথা? তাহলে নিশ্চয়ই বিস্ময়ের শেষ থাকবে না আপনার! আর যদি শোনেন বিশ্বের প্রতিটি দেশই ভ্রমণ করেছেন এমন একজন নারীর কথা? অবিশ্বাস্য লাগছে? ক্যাসান্ড্রা হলেন সেই নারী। তিনি অচীরেই সমগ্র পৃথিবী ভ্রমণকারী নারী হিসেবে প্রথম বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন।
৩ বছর ৩ মাসেরও কম সময়ে ১৯৬টি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন ক্যাসান্ড্রা। নারী হিসেবে এই রেকর্ড প্রথম তারই। আবার তিনি সবচেয়ে তরুণ ভ্রমণকারীও। তার বয়স মাত্র ২৭ বছর। ইতিমধ্যে তার ভ্রমণ করা দেশের সংখ্যা ১৮১টি।
আগষ্টের ২০০৯ সালে তার এই সফর শুরু হয়। সফরসঙ্গী ছিলেন তার ভাই। তারা একসঙ্গে ঘুরে বেড়ান জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম,নেদারল্যান্ডস এবং চেক রিপাবলিক। এরপর বাকিপথ ভাইকে ছাড়াই এগিয়ে যেতে হয় ক্যাসান্ড্রাকে। ২ বছর তিনি কখনো ট্রেনে ঘুমিয়েছেন, কখনো স্টেশনের মেঝেতে থেকেছেন, কখনো পায়ে হেটেছেন। এভাবেই তিনি ভ্রমণ করছেন মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়া।
তার এই ভ্রমণের নামকরণ তিনি করেছেন এক্সপেডিশান১৯৬। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর পিস এর শান্তির রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। ভ্রমণের মাধ্যমেই শান্তির বার্তা পৌছে দেন তিনি। এ পর্যন্ত ভ্রমণে তার খরচ হয়েছে ২ লক্ষ ডলার। এর বেশীরভাগই স্পন্সর করা হয়েছে।
‘আমি একটি অনন্য পথে বেঁচে থাকাকে নির্বাচন করেছি। এমন একটি জীবনধারা গ্রহণ করেছি যেখানে আমি যা চাই আমি তাই করতে পারি, যখন ইচ্ছে করতে পারি এবং তাদেরকেও প্রেরণা দিতে চাই যারা আমার মত জীবন চান’- বলেন ক্যাসান্ড্রা।
মন্তব্য চালু নেই