২২ বছরের যুবতীর ২৪ বিয়ে, ৮ স্বামীর মানববন্ধন!

২২ বছর বয়সেই শরিফা খাতুন ২৪টি বিয়ে করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি টাকা। একে একে ২৪টি বিয়ে করলেও দু-একটি ছাড়া অধিকাংশ স্বামীর সঙ্গেই কোনো প্রকার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়নি শরিফার। কাবিননামায় বিয়ের কনে হিসেবে শরিফার একাধিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

শরিফা খাতুন, তুরজাউন খাতুন, শরিফা খাতুন বৃষ্টি, আবার কোথাও শরিফা নাম উল্লেখ্য রয়েছে। কাবিননামায় কুমারী দাবি করে শরিফার বয়স দেখানো হয়ে ১৮ থেকে ২০ বছর।

চার মাস পূর্বে মা জবেদার প্ররোচনায় শরিফা চট্টগ্রামের এক যুবককে বিয়ে করে। শরিফা একই রকম প্রতারণা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল্লাহ, বদিউজ্জামান, মোসারফ হোসেন, আজাহার আলী, শীষ মোহাম্মদ, সারোয়ার রহিম আপেল ও রাজশাহীর আহসান হাবিবের সঙ্গে।

তাদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে চারটি মামলা ও ১০টির অধিক সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। তাদের বিচার ও শাস্তি দাবি করে প্রতারিত ৮ স্বামী ও তাদের পরিবার চাঁপাই নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সাহাপুর গ্রামের সেকেন্দার গাজীর ছেলে তেইশ নম্বর প্রতারিত স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী নূর হোসেন । ২০১৩ সালে প্রবাস জীবনের ছুটিতে সৌদি থেকে এসে পারিবারিকভাবে ৩ লাখ ১টা দেন মোহরে ১৭ ভরি স্বর্ণ দিয়ে বিয়ে করেন শরিফা খাতুন বৃষ্টিকে। ১৯ লাখ টাকায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় একটি বাড়ি কিনে দেন শরিফার নামে।

দেশে নয় মাস ঘর-সংসার করে ছুটি শেষে সৌদি কর্মস্থলে যাবার সময় চার মাসের গর্ভবতী শরিফাকে নিয়ে যান সঙ্গে। সেখানে শরিফা একমাসও থাকেনি। মা জবেদার প্ররোচনায় ফিরে আসে বাংলাদেশে এবং পেটের পাঁচ মাসের সন্তান নষ্ট করে জানায়, গর্ভপাত হয়েছে। এরপর তাদের সংসার টিকেছিল আরো ১৮-১৯ মাস। এ সময় শরিফার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় আরো ৩০ লাখ টাকা পাঠায় তার স্বামী।

প্রসঙ্গত, শরিফার পৈতৃক বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরসংলগ্ন সদর উপজেলাধীন বারঘরিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর-তাঁতিপাড়া এলাকায়। বাবা শরিফুল ইসলাম, মা জুলেখা খাতুন ওরফে জবেদা। তিন ভাইবোনের মধ্যে শরিফা জ্যেষ্ঠ, মেজ ভাইটির নাম হজরত আলী। ছোট ভাই ৬-৭ বছরের।

শরিফার বাবা শরিফুল ইসলাম পেশায় রাজমিস্ত্রি, সৌদি আরব প্রবাসী। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে গ্রামের বাড়ি বারঘরিয়া থেকে কয়েক বছর আগে বিতাড়িত হয়ে জেলা শহরের স্বরূপনগর-শাহীবাগ মহল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে বিয়ে বাণিজ্য চালাতে থাকেন। সেখান থেকেও একই কারণে বিতাড়িত হয়ে বিভাগীয় শহর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে প্রতারণা চালাতে থাকেন।



মন্তব্য চালু নেই