২০২৩ বিশ্বকাপের পর অবসরে যাবেন সাকিব!

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলার পর থেকে প্রায় ১০ বছর পার করে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। আগামী ৬ আগস্ট ১০ বছর পূর্ণ হবে সাকিবের। ক্যারিয়ারের এই ১০ বছরে অনেক সাফল্য তিনি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। নিজের তারকা ইমেজ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তিনি নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডারের অবস্থানটি ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে।

সাফল্যের ভেলায় চড়তে চড়তে ইতোমধ্যেই সাকিব পৌঁছে গেছেন ৩০ বছর বয়সে। এখন থেকেই ভক্ত-সমর্থকদের মনে প্রশ্ন, আর কতদিন খেলবেন সাকিব। তার কাছ থেকে আর কতদিন সার্ভিস পাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট?

প্রশ্নটার উত্তর অবশ্য সাকিব আল হাসানের নিজের কাছ থেকেই চলে এসেছে। বাংলাদেশের এক ইংরেজি সংবাদপত্রকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, আরও ৬ থেকে ৭ বছর ক্রিকেট খেলে যেতে চান। অন্তত ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ২০২৩ বিশ্বকাপ খেলতে পারলে- এরপরই ক্রিকেটকে গুডবাই জানাবেন সাকিব।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিবের আগেও বড় বড় তারকার জন্ম হয়েছে। আকরাম খান থেকে শুরু করে মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা যতটা না উজ্জ্বল হতে পেরেছেন, সাকিব আল হাসান হয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমান সময়ে মোস্তাফিজুর রহমানের মত আরও বড় তারকার জন্ম হয়েছে। তবে এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয় বলতে যাকে বোঝায়, তিনি হলেন সাকিব আল হাসান।

টানা ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন সাকিব। বিপিএল, এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ, আইপিএলে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এরপর সিপিএল, ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন না? সাকিব বলেন, ‘আসলে এটাই আমার জন্য খেলার সময়। ভালো ফর্মে থাকলে সম্ভবত আরো ছয় থেকে সাত বছর খেলতে পারবো। মূলত এখন আমি যত খেলব, তত উন্নতি করতে পারবো।’

ক্রিকেট এখন সাকিবের জীবনের অংশ। টানা খেলে গেলেও ক্লান্ত হবেন না। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটই সবকিছু। আয়ের উৎস, আমার ভালোবাসা, আমার জীবনের অংশ। তাই খেলে আপনি কখনো ক্লান্ত হবেন না বা আপনার খারাপ লাগবে না। হ্যাঁ, আমি হয়তো শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ব; কিন্তু মানসিকভাবে দুর্বল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

ক্রিকেট যখন ছাড়বেন, তখন কোথায় থাকবেন- এ লক্ষ্য ঠিক করতে চান না তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি কোনো লক্ষ্য ঠিক করি তাহলে কঠিন হয়ে যাবে। আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত যা হচ্ছে, ভালো হচ্ছে। আমি এটিকে আরো ভালো করতে চেষ্টা করব। শেষ করার আগে আমার দলকে একটা ভালো জায়গায় দেখতে পারলে আমার খুব ভালো লাগে। ২০১৫ সাল আমাদের জন্য দারুণ ছিল। যদি তা আরো কয়েক বছর ধরে রাখতে পারি এবং ভালো পারফর্ম করতে পারি তাহলে ২০১৯ বিশ্বকাপেও আমাদের দারুণ একটা সুযোগ থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’

আপাতত সাকিবের লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ। এরপরের বিশ্বকাপও তিনি খেলতে পারেন। সে সম্ভাবনা রয়েছে খুব জোরালোভাবে। অন্তত ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে খেলা ছাড়ার কথা ভাবছেন না সাকিব। কারণ, ওই বিশ্বকাপটা আবার অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে।



মন্তব্য চালু নেই