১৬দিন পর চালু হলো সিটিসেল
বন্ধ হওয়ার ১৬ দিন পর (১৭তম দিনে) চালু হলো মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেল। রবিবার সন্ধ্যায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা—বিটিআরসির একটি দল মহাখালীতে সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সুইচ টিপে চালু করে দেয়। আর এরই মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পেলো বন্ধ হয়ে যাওয়া মোবাইলফোন অপারেটরটি। প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (সিটিসেল) এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ)-এর সভাপতি আশরাফুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আশরাফুল করিম বলেন, ‘সিটিসেল খুলে দেওয়া হতে পারে—এমন খবর শুনে আমরা অফিসেই ছিলাম। সন্ধ্যার পর বিটিআরসি থেকে আসা একটি প্রতিনিধি দল সিটিসেল অফিসে এসে ৬টা ২৫ মিনিট থেকে সুইচ রুম খুলে দিতে শুরু করে। সব সুইচ চালু করতে ত্রিশ মিনিটের মতো সময় লাগে। এর আগে বিটিআরসির প্রতিনিধি দল সিটিসেল কার্যালয়ে প্রবেশ করে সুইচরুম খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিটিসেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে।
এর আগে সন্ধ্যায় বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। আজই খুলে দেওয়া হবে সিটিসেল।’
এদিকে রবিবার সকালে আদালতের নির্দেশনার পরও সিটিসেলের তরঙ্গ কেন খুলে দেওয়া হয়নি—বিটিআরসির কাছে তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।
সিটিসেলের আইনজীবী তরঙ্গ না খোলার বিষয়টি নজরে আনলে আদালত এর ব্যাখ্যা চান। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলিরুজ্জামান। সিটিসেলের পক্ষে ছিলেন এ এম আমিনুদ্দিন।
বকেয়া টাকা শোধ না করায় ২০ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়।
আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, ‘আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সিটিসেল বকেয়ার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আবারও তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি।’ এর আগে বিটিআরসির কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সিটিসেলের প্রধান কার্যালয়ে ঢুকে তরঙ্গ বন্ধের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন।
এরপর সিটিসেল তরঙ্গ খুলে দেওয়ার আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগে গেলে ৩ নভেম্বর শর্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে তরঙ্গ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দু’দিন পেরিয়ে গেলেও তরঙ্গ ফিরে না পেয়ে ফের আদালতে যায় সিটিসেল।
মন্তব্য চালু নেই