১৩ মাস পর ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন

দলীয় কোন্দলের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ১৩ মাস পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা নেতৃবৃন্দের সম্মতিক্রমে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সামনে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুহাঃ সাদেক কুরাইশী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর দলীয় কোন্দল আর গ্রুপিংয়ের কারণে এক বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি নির্বাচিতরা। এ নিয়ে দলের ভিতর চলতে থাকে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ক্ষমতার লড়াই। দলের মধ্যে বাড়তে থাকে গ্র“পিং-লবিং।
অবশেষে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে পরিসমাপ্তি ঘটলো দলীয় কোন্দলের।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক, সহ সভাপতি অ্যাডঃ মকবুল হোসেন বাবু, সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাবলু, সহ-সভাপতি অ্যাডঃ শেখর কুমার রায়, সহ- সভাপতি মাহবুবুর রহমান খোকন, সহ-সভাপতি মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দীপক কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম গোলাম ফারুক রুবেল, দপ্তর সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্ট, প্রচার সম্পাদক সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ মোস্তাক আলম টুলু সহ মোট ৭১ সদস্য।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা: সাদেক কুরাইশী বলেন, পূণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন হওয়ায় তৃণমুল নেতা কর্মীদের মাঝে উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ড ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে তিনি আশা করেন।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দবিরুল ইসলাম বলেন, দেরীতে হলেও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন হয়েছে। এতে করে দলীয় নেতাকর্মীরা স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ও দলীয় কর্মসূচি অংশগ্রহণ করবে এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করবে।



মন্তব্য চালু নেই