১৩ মাসে খুন ২৭২ গুম ২৫ : বিএনপি

২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ মাসে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলায় দলের ২৭২ জন খুন এবং ২৫ জন গুম হয়েছেন বলে নতুন করে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি।

দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খুন ও গুম হওয়া ওইসব নেতা-কর্মীর পূর্ণ বিবরণ বিএনপির কাছে আছে। ছবি বায়োডাটাসহ সব কিছুই আমাদের কাছে পূর্ণাঙ্গভাবে সংরক্ষিত রয়েছে।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতা-কর্মীদের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-সহ খুন ও গুমের প্রতিবাদে এ সমাবেশ করে বিএনপি।

মির্জা আলমগীর দলের নেতা-কর্মীদের খুন ও গুমের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে একই সঙ্গে মহল্লায় মহল্লায় সংগঠন শক্তিশালী করার জন্যও নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সভা-সমাবেশ, মিছিল করা রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু সরকার তার অতীতের বাকশালী আচরণের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বিএনপির স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার নামে দুটি মামলার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘এ দুটো মামলায় সরকারি অর্থের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কুয়েত থেকে বিএনপির শুভাকাক্সিক্ষরা দলের জন্য কিছু অর্থ দিয়েছিলেন। সেগুলো এতিমদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হয়। আর বিএনপি চেয়ারপারসনকে মনোনীত করা হয় এ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। ওই অর্থের পুরোটাই একাউন্টে আছে। অথচ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়ার নামে মামলা হলো।’

তিনি বলেন, বিরোধী দলকে ফাঁদে ফেলতে সরকার যখন কিছু খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এ মামলা মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিএনপির এ নেতা অভিযোগ করেন, দলের শীর্ষ নেতাদের নামেও অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে নতুন করে সরকার বিএনপির ওপর নির্যাতন শুরু করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা সভাপতিত্ব করেন সমাবেশে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই