খালেদার ১৩ দফা প্রস্তাব বঙ্গভবনে

নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন নিয়ে খালেদা জিয়ার ১৩ দফা প্রস্তাব নিয়ে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের বাসভবন বঙ্গভবনে পৌঁছেছে দলটির একটি প্রতিনিধিদল।

কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রপতি সকাল সাড়ে ১০টায় সিঙ্গাপুর যাওয়ায় রাষ্ট্রপতির পক্ষে প্রস্তাব গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতির সহকারী সামরিক সচিব।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবের কপি দেন।

প্রস্তাবনা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার প্রস্তাবনার মুদ্রিত দুই কপি সামরিক সচিবের কাছে দিয়েছি। তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। এবং আমাদেরকে বলেছেন, ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি ফিরে আসার পর ইসি পুনর্গঠনের বিভিন্ন রাজৈতিক দলের সাথে আলোচনা শুরু করবেন। তবে কবে নাগদ আলোচনা শুরু করবেন সেই বিষয়ে তারিখ জানানো হয়নি বলেও জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, বিএনপির প্রত্যাশা, রাষ্ট্রের অভিবাবক হিসাবে জনগণের আশা আকাঙ্খার বিষয়টি মাথায় রেখে সবার কাছে গ্রহণযযোগ্য কমিশন গঠনে কার্যকরী উদ্যোগ নিবেন রাষ্ট্রপতি।

বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেয়া হবে বলে সকালেই জানিয়েছেন দলের সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেয়ার জন্য প্রথমে টেলিফোনে এবং পরে চিঠির মাধ্যমে বঙ্গভবনের কাছে সময় চাওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিএনপিকে সময় দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে শনিবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে দেয়া প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিই পদক্ষেপ নেবেন।

রাষ্ট্রপতির এ সাক্ষাতের মধ্যদিয়ে ইসি পুর্নগঠন নিয়ে আলোচনা আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৮ই নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। উত্থাপিত এক রূপরেখায় তিনি বলেন- নতুন কমিশন নিয়োগের সব দলের ঐকমত্যে বাছাই কমিটি করবেন রাষ্ট্রপতি আর বাছাই কমিটির কাছে নাম দেবে দলগুলো।

বিএনপির প্রস্তাব উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে জনগণ তা মেনে নেবে না বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অধীনে বিএনপি কিছুতেই নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানান তারা। নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে বিএনপি প্রস্তাবনা দেবে বলেও জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।



মন্তব্য চালু নেই